পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে মরক্কো

0
41
পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে মরক্কো
পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে মরক্কো

পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে আফ্রিকার মুসলিম দেশ মরক্কো। যেটা কেউ কল্পনাতেও ভাবেনি সেটায় বাস্তবে করে দেখিয়ে দিল তারা। তাদের এ জয় কীর্তির সাথে লেখা হয়ে গেল ইতিহাসে। প্রথমবারের মতো স্বপ্নের সেমিফাইনালে মরক্কো, প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে শেষ চারে পা রাখল।

গত ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন থেকে একটি পরিবর্তন আনে পর্তুগাল, কার্ভালহোর জায়গায় একাদশে আসেন রুবেন নেভেস, তবে বেঞ্চ থেকেই ম্যাচ শুরু করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। অন্যদিকে লেফট ব্যাক মাজরিউই চোটপ্রাপ্ত হওয়ায় একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে মরক্কো।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় পর্তুগাল, জোয়াও ফেলিক্সের হেডার ঠেকিয়ে দেন পুরো টুনার্মেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মরক্কো গোলকিপার ইয়াসিন বনু। এর ২ মিনিট পর গোল করার সুযোগ পায় মরক্কো, হাকিম জিয়েখের কর্নার কিক থেকে বলে সঠিকভাবে মাথা লাগাতে ব্যর্থ হোন এন নেসিরি।

ম্যাচের ২৬তম মিনিটে আবারো বড় সড় সুযোগ পায় মরক্কো, তবে সেবারও দলকে লিড এনে দিতে ব্যর্থ হন এন নেসিরি। ৩১তম মিনিটে জোয়াও ফেলিক্স পর্তুগালকে এগিয়ে দেয়ার দাঁড়প্রান্তে ছিলেন, যদি না মরক্কোর সেন্টারব্যাক ইয়ামিক অসাধারণভাবে ব্লক না করতেন।

ম্যাচের ৪২তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় মরক্কো। শুরুতে দুটি সুযোগ মিস করলেও এবার ভুল করেননি এন নেসিরি। নিয়মিত লেফটব্যাক মাজরোই-এর পরিবর্তে নামা লেফট ব্যাক ইয়াহিয়া আতিয়াতের ক্রস হেড করে জালে জড়িয়ে লিড এনে দেন মরক্কোকে। গোল হজম করার ২ মিনিট পরই ব্রুনো ফার্নান্দেসের শট ক্রসবারে লাগে, ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পর্তুগাল।

বিরতি থেকে নেমেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পায় মরক্কো। জিয়েখের ফ্রি-কিক থেকে ইয়ামিকের নেয়া হেডার সেভ করেন ডিয়োগো কস্তা। ম্যাচের ফলাফল পরিবর্তনের লক্ষ্যে ৫১তম মিনিটে ফার্নান্দো সান্তোস মাঠে নামান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। পাশাপাশি বদলি হিসেবে আরো মাঠে নামেন জোয়াও ক্যান্সেলোও।