স্কুল-কলেজের সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দুদিন করা হবে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিজেদের মতো করে কিছু সময় কাটাতে পারে সে জন্য এটি করা হয়েছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত কারিকুলামে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যা ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।
গতকাল রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান সংবাদমাধ্যমক এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, স্কুল-কলেজের সপ্তাহে দু’দিন ছুটির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগেও চালু করলে কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। দুই মন্ত্রণালয় চাইলে তা যেকোনো সময় কার্যকর করতে পারবে।
ড. মশিউজ্জামান বলেন, শুধু শিক্ষক আর ক্লাসের পেছনে দৌড়ে তাদের দিন পার হয়। এতে করে পড়ার চাপ তাদের ওপর বেশি পড়ে। এ কারণে স্কুল-কলেজের সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দু’দিন করা হয়েছে। বন্ধের দিনগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারবে।
এনসিটিবির এ সদস্য বলেন, সপ্তাহে দু’দিন ছুটি হলেও জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, কার্যদিবস ধরা হবে। এ দিনগুলোতে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। তারা দিনটি নিজেদের মতো করে কাটাবে।
এ দিনগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। প্রতিযোগিতায় পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে নম্বর দেয়া হবে। সেই নম্বর বার্ষিক ও অন্যান্য পরীক্ষার সাথে যোগ হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় জানানো হয়, সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন ধরে প্রাক-প্রাথমিকে মোট শিখন ঘণ্টা শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সময় নির্ধারণ করা হবে। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিখন হবে ৬৮৪ ঘণ্টা। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির হবে ৮৫৫ ঘণ্টা।
এ ছাড়া মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির মোট শিখন ১ হাজার ৫০ ঘণ্টা, নবম ও দশম শ্রেণির ১ হাজার ১১৭ ঘণ্টা। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ১ হাজার ১৬৭ ঘণ্টা হবে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন শিক্ষাক্রমের একটি রূপরেখা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ওই রূপরেখার খসড়ায় অনুমোদন দেন। ওই দিন দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।