৬ মাসের জামিন পেলেন ফখরুল-আব্বাস

0
64
বিএনপির ফখরুল-আব্বাসের স্থায়ী জামিন
বিএনপির ফখরুল-আব্বাসের স্থায়ী জামিন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মোঃ সেলিম ও বিচারপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে ছয় মাসের জামিন দেন। একই সাথে তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জামিন আদেশের পর বিএনপি নেতাদের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন বলেন, হাইকোর্ট বিএনপি’র দুই নেতাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আদেশ দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকায় জামিনে মুক্তির বাধা নাই।

আদালতে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সাথে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মোহাম্মদ আলী, মোঃ সগীর হোসেন লিওন, মোঃ আক্তারুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম সপু, সাইফুল ইসলাম, আনিছুর রহমান খান, সালমা সুলতানা, মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনির ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম গোলাম মোস্তফা।

সোমবার তাদের জামিন আবেদন করা হয়। নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় ১১ দিন পর রোববার আদেশের কপি পান তাদের আইনজীবীরা। এর পর সোমবার উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলেও উচ্চ আদালতের জামিন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তাদের আইনজীবীরা। জানান, হাইকোর্ট বিভাগের ৬৫ ডিএলআরের ৫৪১ পৃষ্ঠায় আছে মামলার এফআইআরে যাদের নাম আছে তাদের জামিন হলে যাদের নাম নেই তারা জামিন পাবেন।

এছাড়া সাংবাদিক শফিক রেহমানের মামলায় আপিল বিভাগের নির্দেশনা আছে যারা অসুস্থ এবং বয়স্ক তারা জামিন পেতে পারেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার এফআইআরে নাম না থাকা এবং দু’জন বয়োজ্যেষ্ঠ, সমাজ ও রাষ্ট্রের গণ্যমান্য ব্যক্তি হওয়ায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন পেতে কোনো বাধা নেই বলে আইনজীবীরা মনে করেন।