পাকিস্তান সরকারের শরিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তোশাখানা মামলা, ইসলামাবাদ জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে ধংসযজ্ঞ ও ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) বাইরে হামলা-ভাঙচুরের মামলাগুলোতে জামিন চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ইমরান খানের আইনজীবী আজহার সিদ্দিকী জানিয়েছেন, মামলাগুলো রেজিস্ট্রারভুক্ত হয়েছে, আজ শুনানি হতে পারে।
তবে এলএইচসি রেজিস্ট্রার অভিযোগ করে বলেছেন, ইমরান খানের পক্ষ থেকে জামিন আবেদনের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ নথি জমা দেওয়া হয়নি।
এদিকে পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ইমরান খানের বক্তব্য বা মন্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (পিইএমআরএ)।
এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ইমরান খান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন এবং ঘৃণাসূচক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। এর আগে গতকাল রোববার ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
অন্যদিকে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো রোববার বলেছেন, সিন্ধু প্রদেশে বন্যাকবলিতদের জন্য প্রতিশ্রুত ত্রাণ ও সহায়তা না সরবরাহ করা হলে কেন্দ্রীয় সরকারে তাঁর পার্টির থাকা কঠিন হয়ে যাবে। সিন্ধু প্রদেশ পিপিপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেখানে বহু মানুষ বন্যায় বিপদগ্রস্ত রয়েছেন।
বন্যাকবলিতদের জন্য যেখানে সাড়ে ১৩ বিলিয়ন রুপি প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে মাত্র ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন রুপি দিয়েছে এবং বাকি ৮ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন রুপি সিন্ধু প্রদেশের সরকারকে ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, ‘পার্লামেন্টে এ নিয়ে কথা বলব। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। ভুক্তভোগীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে, নইলে সরকারের অংশ হিসেবে থাকা পিপিপির জন্য কঠিন হয়ে যাবে।’