দেশের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেয়া হবে

0
35
দেশের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেয়া হবে
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেয়া হবে

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী মাস থেকে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আশা করা যায়, এর ফলে আগামী মে-জুনের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন জোগানের ব্যবস্থা করেছি। এই ভ্যাকসিন থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমানে ভ্যাকসিন হাতে চলে আসছে। এর মধ্যেই ৭ কোটি প্রথম ডোজ, ৫ কোটি ডাবল ডোজসহ মোট ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে।

সেক্ষেত্রে সরকারের ৩১ কোটি ডোজ টিকা হাতে পাওয়ার সংস্থান করা গেছে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন লাগলেও হাতে আরো ৩ কোটি ডোজ টিকা থেকে যাবে। আর ইতোমধ্যে আমরা স্কুল পর্যায়েসহ বস্তিতে গিয়েও ভ্যাকসিন দিয়েছি। আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে আমরা অন্তত ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবার কাজ শুরু করছি।’

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ইডিসিএল (এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লি.) আয়োজিত বার্ষিক জেনারেল মিটিং ও বোর্ড সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

দেশে ইডিসিএলের নানারকম ওষুধের উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম ওষুধের উৎপাদনের চাহিদাও পাচ্ছে ইডিসিএল। কিন্তু সে তুলনায় ইডিসিএল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।

অবকাঠামো দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির ঘাটতি, ফ্যাক্টরির জায়গা স্বল্পতাসহ এখানে নানারকম সমস্যা রয়েছে। এজন্য ইডিসিএলের জন্য একটি অত্যাধুনিক মানের কারখানা নির্মাণের বিল এখন একনেকে রয়েছে।

এটি দ্রুতই সম্পন্ন হয়ে যাবে। এসব উদ্যোগ সম্পন্ন করার পর ইডিসিএল আরো বেশি শক্তিশালী হবে বলে সভায় জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো জানান, বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে। সাউথইস্ট এশিয়াতে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে।

১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়নি।

সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামনে ওমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু টিকা ওমিক্রন ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই ওমিক্রন ছড়াবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে মুখে মাস্ক পড়ারও আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু ও ডিজিডিএ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: এহসানুল কবির।