রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে মোটামুটি সব অঞ্চলে সার উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এতে করে আরেক দফা ব্যাহত হবে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ।
যুক্তরাষ্ট্র এবং এর ইউরোপীয় মিত্ররা পুতিনের আগ্রাসনকে সাম্রাজ্য-ধাঁচের ভূমি দখলের পদক্ষেপ হিসাবে অভিহিত করেছে। যা এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা যায়নি। কারণ ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ এবং রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে পশ্চিমাদের পদক্ষেপের ব্যাপারে যথাযথ পর্যবেক্ষণ করতে পারেনি মস্কো।
মেলনিচেঙ্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞাসহ রুশ ব্যবসায়ীদের ওপর পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে রাশিয়ার করপোরেট খাতকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপক প্রচেষ্টা দেখা গেছে। আর এসবের উদ্দেশ্য পুতিনকে যুদ্ধের পথ পরিবর্তনে বাধ্য করা।
যদিও পুতিন পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি চলমান যুদ্ধকে বিপজ্জনক জাতীয়তাবাদী ও নাৎসিদের হাত থেকে ইউক্রেনকে মুক্ত করার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করেছেন।
রুশ নাগরিক ৫০ বছর বয়সী মেলনিচেঙ্কোর জন্ম বেলারুশে এবং তার মা একজন ইউক্রেনীয়। রয়টার্সের কাছে ই-মেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে মেলনিচেঙ্কোর মুখপাত্র বলেছেন, ‘ইউক্রেনের ঘটনায় সত্যিই মর্মান্তিক। আমাদের অবিলম্বে শান্তি দরকার।’