রুপ চর্চায় হাজার বছরের পুরনো ক্যাস্টর অয়েল

0
58
রুপ চর্চায় হাজার বছরের পুরনো ক্যাস্টর অয়েল
রুপ চর্চায় হাজার বছরের পুরনো ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েল একটি উদ্ভিজ্জ তেল। যা ভেন্নার তেল নামেও পরিচিত। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ এটি ব্যাবহার করে আসছে। ভেন্নার ফল সংগ্রহ করে তা থেকে বীজ পাওয়া যায় আর বীজ থেকেই তৈরি হয় Castor oil।

বানিজ্যিক ভাবে আমাদের দেশে Castor oil চাষ বা সংগ্রহ করা না হলেও বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই ইহার প্রচলন রয়েছে। যার বৈজ্ঞানিক নাম (Ricinus communes) ইংরেজিতে বলা হয় Castor bean অথবা Castor oil plant। বাংলা নামে না চিনলেও আমরা অনেকেই ব্যবহার করি castor oil।

অতি মূল্যবান ভেন্না/castor আমাদের দেশে ইহার ব্যবহার থাকলেও বানিজ্যিক ভাবে চাষ বা সংগ্রহ করা হয় না। এটিকে বিভিন্ন সময় দেখা যায় রাস্তার পাশে, জংগল কিংবা পরিত্যক্ত জমিতে।

ক্যাস্টর অয়েল এর সুবিধাঃ
যুগ যুগ ধরে চুলের পরিচর্যায় ব্যবহার হয়ে আসছে castor oil। এই তেল কে প্রাকৃতিক কনডিশনার বলা হয়। castor oil- এ অধিক পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় চুলের জন্য বেশ উপকারী। চুলকে লম্বা, ঘন করতে এবং তার প্রাকৃতিক উজ্বলতা বজায় রাখতে নিয়মিতভাবে ক্যাস্টর অয়েল (রেড়ির তেল) দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করা উচিত।

চুলের প্রাকৃতিক রং বাঁচিয়ে রাখতেও ক্যাস্টর অয়েলের উপকারিতাকে (Benefits Of Castor Oil) অস্বীকার করা যায় না। যদি মাথায় পাকা চুল দেখা যায়, তাহলে ক্যাস্টর অয়েল লাগালে পিগমেন্টেশন নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

ভেষজ গুণঃ

পেট ফাঁপায়, ক্রিমি উপদ্রবে, বৃদ্ধি বা বাতজ রোগ, কোথাও কেটে গেলে, কোনো জায়গা পুড়ে গেলে ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয় এই তেল।

বাত রোগে:

বাত রোগে আক্রান্ত স্থানে ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করা উচিত। এটি পেশীর ব্যথা হ্রাস করে। খুব শীঘ্রই একজন ব্যক্তি বাত থেকে মুক্তি পান। ক্যাস্টর অয়েলে এ যৌগ থাকে যা ব্যাথা কে শোষণ করে এবং রোগীকে স্বস্তি দেয়।

ব্রণ দূর করতে:

ব্রণ হ’ল ত্বকের এমন একটি অবস্থা যা ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস পুঁজ ভর্তি ফুসকুড়ি এবং দেহে দুর্দান্ত বেদনাদায়ক দাগ তৈরি করতে পারে। এটি কৈশোরে এবং যুবকদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এবং আত্মসমানকে নেতিবাচক রূপ দিতে পারে। ক্যাস্টর অয়েলে এমন অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্রণর লক্ষণগুলি হ্রাস করে। প্রদাহ ব্রণর বিকাশ এবং তীব্রতার একটি কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়।

বয়স ধরে রাখতেঃ

এই তেলে আছে অ্যাণ্টি এজিং প্রপার্টি (Anti Aging Property)। ক্যাস্টর অয়েল (Castor Oil) যখন ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে তখন সেটা কোলাজেন ও ইলাস্টিনের উৎপাদন অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। এই দুটোর উৎপাদন বেড়ে গেলে ত্বকে বলিরেখা ও ফাইন লাইন আসতে দেরি হয়। ত্বক অনেক বেশি সজীব ও তরুণ দেখায়।

ত্বকের যত্নে:

ক্যাস্টর অয়েল রেসিনসোলিক অ্যাসিড মনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিডে সমৃদ্ধ। সুতরাং, তারা humectants হিসাবে কাজ করে। এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে করে । ত্বকের আর্দ্রতা বাজায়ে রাখে । ক্যাস্টর অয়েল প্রায়শই বিউটি প্রদার্থ তে হাইড্রেশন প্রচার করতে ব্যবহৃত হয় এবং প্রায়শই লোশন মেকআপ এবং ক্লিনিজিংয়ে ব্যবহৃত হয়।

আমাদের দেশে ইহা চাষ ও সংগ্রহ করলে ঘুরতে পারে অর্থনীতির চাকা ও সেই সাথে বাড়বে কর্মসংস্থান। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রচার প্রচারণা করলে, চাষ,সংগ্রহ কেনাবেচা চালু হলে চাষাবাদ বাড়বে বলে মনে করেন অনেকেই।