অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন

0
2
১০ম ওয়েজবোর্ড
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন

মে দিবসের চেতনা বাস্তবায়নে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতারা এই দাবি জানান।

তারা বলেন, দেশে অন্যান্য পেশাজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়লেও সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি অনিয়মিত। অন্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রেও সাংবাদিকরা পিছিয়ে রয়েছেন। সরকারের স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম নীতি থাকলেও তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অনেকের অনীহা রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা শোষণ-বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। সরকার বিষয়গুলো জানলেও এসব ক্ষেত্রে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

ডিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের অধিকার ও মর্যাদার বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। তবে সরকারের কিছু কর্মকর্তা আছেন যারা সাংবাদিকদের অধিকারের বিষয়ে উদাসীন। সাংবাদিকদের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করতে অবিলম্বে টেলিভিশন ও পত্রিকায় ১০ম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করতে হবে।

বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মে দিবসের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের তিনটি অধিকার অর্জিত হয়েছিল। আট ঘণ্টা কাজের, আট ঘণ্টা বিশ্রাম ও পরিবারের জন্য, বাকি আট ঘণ্টা সংগঠন করার জন্য। সংগঠন করার আট ঘণ্টায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে। মে দিবস আমাদেরকে পেশার মর্যাদা শেখায় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শেখায়।

নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছাঁটাই বন্ধ করার মালিকদের প্রতি দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের সকল বকেয়া বেতন-ভাতা অবিলম্বে পরিশোধ করার দাবি তোলেন বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ। তিনি বলেন, নিজের অধিকার আদায়ে প্রথমে নিজেকেই সোচ্চার হতে হবে।

বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, অধিকার আদায়ে সংবাদপত্রের শ্রমিক-কর্মচারী ও সাংবাদিকদের ঐক্য অত্যন্ত জরুরি।

ডিইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, বর্তমান সময়ে সংবাদপত্রে বঞ্চনার মাত্রা দেখে মনে হয় আমরা এখনও ১৮৮৬ পূর্ব অবস্থায় রয়েছি। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই সাংবাদিকদের অধিকার ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

সভায় বক্তব্য দেন ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বিএফইউজে’র কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিইউজের সহ-সভাপতি ইব্রাহীম খলিল খোকন, সাবেক সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান মিঞা, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য নাসরিন গীতি, রারজানা সুলতানা, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিনিয়র রিপোর্টার আবু সাঈদ, ত্রিপুরা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ গোপ। এছাড়াও ছিলেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমি খান প্রমুখ।