প্রতীকী আয়োজনেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা

0
30
মঙ্গল শোভাযাত্রা
মঙ্গল শোভাযাত্রা

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বশরীরে কোনও মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়ার পর সীমিত আকারে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে চারুকলা কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা করবে কর্তৃপক্ষ। সেখানে সাধারণ জনগণ উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল শোভাযাত্রার দায়িত্বে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন ইত্তেফাককে জানান, প্রতিবছর স্বশরীরে মঙ্গল শোভাযাত্রা হলেও এ বছর করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আমরা শোভাযাত্রা পালন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তবে প্রতীকী একটি শোভাযাত্রা আমরা করবো।

প্রতিবছরের সকাল ৯টায় ওই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এমনকি গণমাধ্যমের কাউকেও না। গণমাধ্যমের প্রচারের সুবিধার্থে প্রতীকী শোভাযাত্রার ভিডিও আমরা গণমাধ্যমে পাঠিয়ে দেবো।

এর আগে গত ২৯ মার্চ সীমিত পরিসরে চারুকলা অনুষদ চত্ত্বরেই ১শ জন নিয়ে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা করার সিদ্ধান্ত জানায় বিশ্ববিদ্যালয়। ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি তিনি বলেন, তখন বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, কিন্তু পরিস্থিতি এমন দাঁড়াবে তা আমরা চিন্তা করতে পারিনি। সরকারও এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা না জানায় ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

গতকালকের জনসংযোগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং লকডাউন বিবেচনা করে বুধবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ ১৪২৮ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বশরীরে কোনও মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হবে না। তবে প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি মঙ্গল শোভাযাত্রার বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রদর্শন ও সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও ধরনের মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গণজমায়েত করা যাবে না। মহামারি উদ্ভূত পরিস্থিতি উত্তরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রার বিষয়ে অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে একটি বার্তা থাকে। সেটি সব সময় মানবতার পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে, অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে। করোনা পরিস্থিতির জন্য গতবছর কোনও ধরনের আয়োজন ছিল না। এ বছরও সীমিত আয়োজন রয়েছে। এ আয়োজনের মধ্যেও করোনা পরিস্থিতির বার্তা রয়েছে।’