শুক্রবার (১১ জুন) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী ওমোহামেডান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের লড়াই চলাকালে দফায় দফায় রাগান্বীত হয়ে আলোচনায় সাকিব আল হাসান।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) ভার্চ্যুয়ালি এক শুনানির আয়োজন করে। সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ জানিয়েছেন, ম্যাচ রেফারিদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সাকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রথম ঘটনা
ম্যাচের পঞ্চম ওভারের বল করছিলেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব। শেষ বলে স্ট্রাইকে ছিলেন আবাহনীর দলপতি মুশফিকুর রহিম। সাকিব এলবিডব্লিউর আবেদন করলেও আম্পায়ার ইমরান পারভেজ আউট দেননি। মুহূর্তেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় সাকিবকে। স্ট্যাম্পে লাথি দিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন তিনি।
ঘটনা দুই
ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বল পর্যন্ত আবাহনীর সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৩১ রান। আকাশ ছিল মেঘলা। খেলা থামিয়ে মাঠকর্মীদের পিচ ঢাকার জন্য নির্দেশ দেন আম্পায়ার। ঠিক ওমন সময় সাকিব আবারও চড়াও হন। দৌড়ে এসে স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি। তার পর রাগ দেখিয়ে মাঠ থেকে বের হয়ে আসেন।
তৃতীয় ঘটনা
বৃষ্টি শুরু হচ্ছিল। সাকিবরা মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় আবাহনীর কোচ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন সাকিবের দিকে তেড়ে আসতে থাকেন। সাকিবও দূর থেকে তার সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। সাকিবের পাশে থাকা টিম ম্যানেজমেন্টের লোক তাকে ধরে রাখেন। অন্যদিকে সুজনকে মোহামেডানের খেলোয়াড় শামসুর রহমান শুভ ধরে থাকেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঘটনার পর সাকিব এসেছিলেন আমাদের ড্রেসিংরুমে। এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। সেখানে খালেদ মাহমুদ সুজনও ছিলেন। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। পরে দুজন বুক মিলিয়েছেন।