জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষি খাত বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে। মূলত আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের অধিকাংশ মানুষের প্রধান জীবিকা হচ্ছে কৃষি। দেশে কৃষি খাতে কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন আগের তুলনায় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি খাতে দেশের শিক্ষিত তরুণ যুবকেরা এগিয়ে এসেছে। এতে তারা স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মত্স্য খাত, পোলট্রি খাত, ডেইরি শিল্পে জড়িত আছেন। করোনা মহামারি এসে আমাদের পুরো কৃষি খাতকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। বর্তমানে পোলট্রি শিল্প ধ্বংসের মুখোমুখি।
করোনাকালে পোলট্রি শিল্পে বিরাট ধস নেমে আসে। করোনাকালে মুরগির বাচ্চা উত্পাদন এবং বাজারে মুরগি বিক্রিতে জটিলতার কারণে খামারিরা খামার বন্ধ করে দেয়। এতে খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সারা দেশে হাজার হাজার পোলট্রি খামারিরা খামার বন্ধ রাখায় বাজারে মুরগির দাম অনেক বেড়ে যায়।
খামারিরা আর্থিক সংকটের কারণে নতুনভাবে খামার চালু করতে পারছে না। ডেইরি শিল্পেরও একই অবস্থা। করোনাকালে উত্পাদিত দুধ বিক্রি করতে না পারায় খামারিরা লোকসান দিতে দিতে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। এদিকে গোখাদ্যের সংকট, মূল্যবৃদ্ধি এবং জরুরি ওষুধের সংকট, দাম বৃদ্ধির কারণে খামারিরা বিপাকে পড়ে।
লোকসানের ঘানি টানতে টানতে অনেক খামারি খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। বর্তমানে দেশের ডেইরি শিল্পের দুর্দিন চলছে। খামারিরা জানায়, তারা আর্থিক সহযোগিতা পেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। দেশের কৃষি ক্ষেত্রে করোনার প্রভাব পড়ার কারণে সাধারণ কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য বিপণন করতে পারেননি।
এতে তারা আর্থিকভাবে লোকসানের মুখোমুখি হয়েছে। মোটকথা, করোনার কারণে দেশের পুরো কৃষি খাত সংকটের মধ্যে পড়ে গেছে। আমাদের কৃষি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামী অর্থবছরে যে বাজেট নির্ধারণ করা হচ্ছে সেখানে দেশের কৃষি খাতের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে। কৃষির উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষকদেরকে সরাসরি সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে।
দেশের অন্য খাতের তুলনায় কৃষি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের এগিয়ে যাওয়া কৃষি খাতের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের শিক্ষিত তরুণ যুবকদেরকে কৃষি ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করতে হবে। তাদেরকে আর্থিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে কৃষিকে সমৃদ্ধশালী করে তুলতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।