শেখ হাসিনা সংগ্রামী নেতা থেকে কালজয়ী রাষ্ট্রনায়ক: ওবায়দুল কাদের

0
44
ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাজনীতিকের সীমানা পেরিয়ে রাষ্ট্রনায়কে রূপান্তর হয়েছেন। সংগ্রামী নেতা থেকে তিনি আজ কালজয়ী রাষ্ট্রনায়ক।’

আজ (১৬ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলটির তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির উদ্যোগে ‌‘শেখ হাসিনার চারদশক: বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা একজন সংগ্রামী নেতা থেকে এখন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ও উন্নয়নের নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার জন্যই জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছে। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে, তাই বাংলাদেশ পাপমুক্ত ও কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।’

শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশ আজ সীমান্ত ও ছিটমহল সমস্যার সমাধান এবং গঙ্গার নদীর পানির ন্যায্য পাওনা বুঝে পেয়েছে ও সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছে বলে মনে করেন সেতুমন্ত্রী। তার আশা, অন্যান্য বিষয়েও সমাধান হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে। পাশাপাশি অন্যান্য মেগা প্রকল্প, বিশেষ করে মেট্রোরেলসহ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের মহাকাশ বিজয়ের কথাও স্মরণ করে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আজ নিজস্ব স্যাটেলাইট যুগেও প্রবেশ করেছে,যার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ আজ পারমাণবিক বোমা ছাড়া আর্থসামাজিক সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে সবচেয়ে সফল, সাহসী এবং মানবিক রাষ্ট্রনায়কের নাম শেখ হাসিনা মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম। শেখ হাসিনার চলার পথ কখনো পুষ্প বিছানো ছিলো না। তবুও তিনি এগিয়ে গেছেন মানুষের মুক্তির জন্য, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তিনি এসেছিলেন বলেই কলহ-কন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং শেখ হাসিনা আজ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও চার দশক অতিক্রম করেছেন এবং তিনি আজ আওয়ামী লীগকেও অতিক্রম করেছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন, দেশের মানুষের ভালোবাসায় শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারসহ মোট চারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন তার যোগ্য নেতৃত্বে। তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন ও জীবিকার কথা মাথায় রেখে করোনার এই মহামারিতে শেখ হাসিনা দেশকে স্থিতিশীল পর্যায়ে রাখতে পেরেছেন। খাদ্য ঘাটতিতে থাকা দেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছেন।

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণ থেকে সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মশিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর প্রান্তে আরও ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির নেতৃবৃন্দ।