সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্য। এ জন্য খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন পাঁচ ধরনের খাবার রাখতে হবে। শস্যজাতীয় খাবার যেমন চাল, আটা ও ভুট্টা। প্রোটিনজাতীয় খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম ও ডাল। দুগ্ধজাতীয় খাদ্য। শাকসবজি ও ফলমূল। ঘি, চর্বি, তেল। এই পাঁচ ধরনের খাবার প্রতিদিন বয়সভেদে প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে।
অন্যদিকে যাদের খাদ্যতালিকায় শাকসবজি, ফলমূল, মাছ অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডজাতীয় খাদ্য, মাছের তেল সাপ্লিমেন্ট রয়েছে তাদের মধ্যে বিষণ্নতা কমে গেছে। অপুষ্টি বা অতিপুষ্টির কারণে শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। স্থূলতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে রয়েছে বিরাট যোগাযোগ। আর বিষণ্নতার পিছনেও অনেকাংশে স্থূলতা দায়ী।
কম পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে বিষণ্নতা ও উদ্বেগের রিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণে সিজোফ্রেনিয়ায় লক্ষণকে আরো খারাপ করে। সিজোফ্রেনিয়ায় মুড ডিজঅর্ডার সম্পর্কে গবেষকরা বলছেন, এজন্য খাদ্যের অ্যালার্জি অনেকাংশে দায়ী। মস্তিষ্কের বিকাশ ও বুদ্ধি ঠিক রাখতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা দরকার। পুষ্টিকর খাবার ছাড়া এটা সম্ভব নয়।
খাদ্যে জিংক কম থাকলে বিষণ্নতার কারণ হতে পারে। ডিম, দুধ, পনির ছাড়া আরো অনেক খাবারে জিংক রয়েছে। আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়া হয়। হিমোগ্লোবিনের অভাবে শরীরে নানা সমস্যা তৈরি হয়। কোনো কাজে মন বসে না। মনোযোগ না বসলে কাজের ব্যাঘাত ঘটে। কলিজা, গরুর মাংস, কলা, জাম, কাঁঠাল, কচুশাক, খেজুর এসব খাবার আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। বি১২-এর অভাব হলে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। হতাশা, মানসিক চাপ বাড়ে। দুধ, ডিম, পনির, কম চর্বিযুক্ত খাবার ভিটামিন বি১২-এ পাওয়া যায়।
ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলা, আমলকী, আঙুর, কাঁচামরিচ ভিটামিন সি-এর উৎস। মস্তিষ্কের নিউরো ট্রান্সমিটার তথ্য আদানপ্রদানে কাজ করে। এটি সেরেটিনিন তৈরির কাজে লাগে। আমাদের ব্যথা, বেদনা, মুড, অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে সেরেটিনিনের ভূমিকা রয়েছে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাদ্য মাছের তেল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। শস্য দানাজাতীয় খাদ্যে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ। লাল আটা, চাল, গম এগুলোতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট থাকে। দানাশস্য থেকে গ্লুুকোজ পাওয়া যায়, যা সরাসরি মস্তিষ্ককে সচল করে।