তৃতীয়বারের মতো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা ব্যানার্জি। বুধবার (৫ মে) বেলা সোয়া ১১টায় রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে শপথ নেন তিনি।
করোনা আবহের কারণে ছোট পরিসরে হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। এ কারণে সীমিত সংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন শপথ অনুষ্ঠানে। শপথ বাক্য পাঠ করার পর মমতা ব্যানার্জি জানান, তার সরকারের প্রথম কাজ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, রাজভবন থেকে সরাসরি নবান্নে গিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৈঠকে বসবেন তিনি। সেখানেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর বিকেল ৩টায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেবেন মমতা।
এর আগে সোমবার (৩ মে) সন্ধ্যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শপথগ্রহণের দিন ঠিক হওয়ার পর সোমবার রাজভবনে যান মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক করেন মমতা ব্যানার্জি। এরপর তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে এবার দুর্দান্ত জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনে ২৯২ আসনের মধ্যে ২১৩টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি জয় পেয়েছে ৭৭টিতে।
তবে দল জয় পেলেও নিজ আসন নন্দীগ্রামে ধাক্কা খেয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। এরপর অনেকের প্রশ্ন জাগে, ভোটে হারার পর মমতার ভাগ্য তাহলে কী হবে? তিনি কি টানা তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন?
সংবিধানে যাই থাকুক না কেন, এর আগেও কিন্তু পরাজিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসার নজির রয়েছে ভারতে। আবার ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) নং ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনে না জিতেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া যায়। তবে মসনদে বসার ছয় মাসের মধ্যে তাকে অন্য কোনো আসন থেকে জিতে আসতে হবে।