করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যে অবশ্য কর্তব্য তা একাধিকবার জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা। মাস্ক না পরার জন্য বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের সকল দেশেই জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে অসংখ্য সাধারণ নাগরিককে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু তাই বলে জরিমানা গুনতে হলো খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। এমনটাই ঘটেছে নরওয়েতে। সেদেশের পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গকে জরিমানা করা হয়েছে কোভিড-১৯ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে। ঠিক কী অভিযোগ এরনা সোলবার্গের বিরুদ্ধে? গত ফেব্রুয়ারিতে নিজের ৬০তম জন্মদিনে পরিবারের ১৩ জন সদস্যকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি।
অথচ সেদেশের কোভিড-১৯ বিধিতে রয়েছে, ১০ জনের বেশি কোনও পার্টিতে থাকতে পারবেন না। সেই আইন ভাঙাতেই এই জরিমানা। আর সেই অঙ্ক মোটেই অল্প নয়। ২০ হাজার নরউইজিয়ান ক্রাউন বা ২ হাজার ৩৫২ মার্কিন ডলার। ওই পার্টির আয়োজনের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন এরনা। তবুও জরিমানার মুখেই পড়তে হল তাকে।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা ওলে সেভারুদ একথা জানিয়েছেন। আসলে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চেয়েছে পুলিশ। সেকথা জানিয়েছেন স্বয়ং সেভারুদ। তার কথায়, আইন সকলের জন্যই সমান। তবুও আইনের সামনে সবকিছু সব সময় সমান থাকে না। সেই জন্য সামাজিক বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে সাধারণ জনতার বিশ্বাস অটুট রাখতেই এই ধরনের পদক্ষেপ করা দরকার।
তবে এখনও পর্যন্ত নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীন ভোটপ্রচারে অনেক সময়ই কোভিড-১৯ বিধি না মানার অভিযোগ উঠেছে বহু প্রার্থীরই বিরুদ্ধে। তবে সেই সব ক্ষেত্রে কোনও জরিমানার কথা জানা যায়নি।