খোলা আকাশে অবমুক্ত বিলুপ্ত প্রায় ১৬ শকুন

0
31
বিলুপ্ত প্রায় শকুন
বিলুপ্ত প্রায় শকুন

বিলুপ্ত প্রায় উদ্ধারকৃত শকুনকে রক্ষা ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সিংড়া জাতীয় উদ্যানে উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রে সুস্থ হয়ে ওঠা ১৬টি শকুনকে আবারও প্রকৃতির খোলা আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে।

রবিবার বিকালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব শকুনকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের কারণে আনুষ্ঠানিকতা সংক্ষিপ্ত করে শকুনগুলোকে অবমুক্ত করা হয়।

জানা যায়, বিলুপ্ত প্রায় উদ্ধারকৃত শকুনকে রক্ষা ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বিলুপ্ত ও বিপন্ন প্রায় শকুনকে বাচাঁতে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে গত ৪ বছর ধরে আইইউসিএন বাংলাদেশ ও বন বিভাগ যৌথভাবে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে আইইউসিএন বাংলাদেশে শকুন উদ্ধার, পরিচর্যা এবং পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

এখানে উদ্ধার পূর্বক পরিচর্যা এবং পুনর্বাসন করে আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। শকুনেরা ফিরে যায় তাদের নীড়ে। চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বছরের জানুয়ারি থেকে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যায় ছিল ২০টি শকুন। প্রতিটি শকুনকে খাদ্য হিসেবে দু’দিন পর পর দেওয়া হয় আধা কেজি ব্রয়লার মুরগি। উদ্ধারকৃত দুটি শকুন মারা গেছে এবং দুটি উড়ে চলে যায়। বর্তমানে ১৬টি শকুন সুস্থ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার অবমুক্তি করা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বীরগঞ্জের সিংড়া জাতীয় উদ্যানে শকুনের জন্য পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন শকুনের জন্য গড়ে প্রতিদিন ৬ কেজি ব্রয়লার মুরগি দেওয়া হয়। এছাড়াও স্যালাইন, পানি ওষুধ দেয়া হয় বলে জানায় শকুনের দেখভালের তদারককারী বেলাল হোসেন।

রবিবার বিকালে ১৬ শকুন অবমুক্তির সময় প্রধান অতিথি ছিলেন সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন। এছাড়াও সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুরের সহকারী বন সংরক্ষক শাহিন কবির, আইইউএনসিএন’র বাংলাদেশের প্রজেক্ট অ্যাসিসটেন্ট অফিসার সমীর সাহা, বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বনবীট কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বনবিট কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ জানান, এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় শকুন আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষ আহত শকুনদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন করে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করে।

হিমালয়ের পাদদেশে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত। এ কারণে এই এলাকায় এখনো কিছু শকুন দেখা যায়। অনেক সময় এগুলো অতিথি হয়ে আসে। তবে এ এলাকার মানুষ যদি সচেতন হয় এবং শকুন উদ্ধার করে অথবা সংবাদ প্রদান করে তাহলে তাদের উদ্ধার করে পুনর্বাসন কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করার মাধ্যমে তাদের বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।