
বগুড়া শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকা থেকে ৩৭ কেজি ওজনের ৩৫টি কাছিম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৫ মার্চ) সকাল নয়টায় পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড ইনভায়রনমেন্ট রিসার্চের (তীর) সহযোগীতায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিকসহ বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কাছিম উদ্ধার করেন।
সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে টিম ফর এনার্জি এন্ড ইনভায়রনমেন্ট রিসার্চ তীর এর সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হোসেন রহমান তিনমাথা রেলগেট এলাকায় এসব কাছিম বিক্রির সময় দেখতে পায়। কৌশলে ছবি তুলে তীরের সাবেক সভাপতি মো. আরাফাত রহমানকে দেখালে এগুলো দেশীয় প্রজাতি নিশ্চিত হয়ে বন অধিদপ্তরের জানানো হয়। বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিকসহ তীর এর সদস্যরা গাড়িতে তোলার সময় হাতেনাতে আটক করেন।
মো. আরাফাত রহমান জানান, আমরা বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক এর উপস্থিতিতে পরবর্তীতে যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে নিয়ে দুটি বস্তা থেকে কাছিম গুলো বের করে গণনা করি। উদ্ধারকৃত কাছিম গুলো দেশীয় সুন্ধি প্রজাতির। এ সময় তীর সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক রিফাত হাসান, সহ সভাপতি মুকিম মাহমুদ কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবীবসহ বন প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আটককৃত রফিকুল ইসলাম ও গোবিন্দ চন্দ্র রায় জানান, তারা বিক্রির জন্য নোয়াখালী, ভৈরব ও মুন্সিগঞ্জ হতে সংগ্রহ করে এনেছে। প্রতি মাসে তারা এ রকম দুই-তিনটি চালান বিক্রি করে থাকেন।
বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে পনের শত টাকা দরে বিক্রি হয়। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী কাছিম ধরা, শিকার, ক্রয় বিক্রয়, খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।