
৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় দেশব্যাপী করোনার টিকাদান কার্যক্রম। সহজ নিবন্ধন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার পরেও প্রত্যাশা অনুযায়ি সাড়া মেলেনি। টিকা গ্রহণে মানুষকে উদ্দীপ্ত করতে শর্তও শিথিল করা হয়।
দক্ষিণ এশিয়ায় টিকা গ্রহণের হারে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রতি দশহাজারে দৈনিক টিকা নিচ্ছেন মাত্র ৫ জন।আইইডিসিআর এর পরামর্শক ডা. মুশতাক হোসেন বলনে, ‘প্রথম পর্বে পেশাজীবী যারা অগ্রাধিকার প্রাপ্ত তাদের সংখ্যা ৫১ লাখ। উপযুক্ত প্রচারে যেতে হবে, সেগুলো অবশ্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রথমদিন ৩৯ জন টিকা নিয়েছিলেন। এখন দিনে ১ হাজার ৪৯ জন হয়। এক মাসের ব্যবধানে ১ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দিন দিন বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। সাধারণ ব্যথা হয়েছে, সেটা স্বাভাবিক।’ পরিসংখ্যান বলছে, এখন প্রতিদিন এক লাখের উপরে মানুষ টিকা নিচ্ছে।’
তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ‘টিকা নিতে প্রথম দিকের অনাগ্রহ কাটিয়ে উঠেছে মানুষ। দৈনিক ডোজের সংখ্যাও বেড়েছে। আর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আরও বিস্তৃত করতে হবে নিবন্ধন সেবা। তাহলেই ব্যাপক ভিত্তিতে মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য, ৮ মার্চ পর্যন্ত মোট টিকা নিয়েছেন ৩৯ লাখ ৬ হাজার ৫০০ জন। নিবন্ধন করেছেন ৫১ লাখ ৩৬ লাখ ৪৭৪ জন।