‘ভাইরাল গার্ল’। সিরিয়াস গল্প হলেও দ্রুতই আলোচিত নাটকটি। এ জন্য দর্শকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’ ‘ভাইরাল গার্ল’ সম্প্রতি ইউটিউবে উন্মুক্ত হয়। এক দিনেই ১০ লাখ ভিউ হয় নাটকটি। সিরিয়াস গল্পের নাটকটি দর্শক গ্রহণ করায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওপরের কথাগুলো বলেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি।
‘সে নো টু অনলাইন হ্যারেসমেন্ট’ স্লোগান নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ভাইরাল গার্ল’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী ও মনোজ প্রামাণিক। গত ২৮ জানুয়ারি লাইভ টেকনোলজির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয় নাটকটি।
নারীপ্রধান গল্পের এ নাটকে দেখা যায়, বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন মেহজাবীন। পার্লার থেকে সেজে যাওয়ার পথে শিকার হন দুর্ঘটনার। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করে কয়েকজন। মারধরের ভিডিওটি রীতিমতো ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। চাকরি হারান মেহজাবীন।
নাটকের শেষে জানা যায়, ফেক আইডির মাধ্যমে অনলাইনে প্রতারণা করে একটি চক্র। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ওই চক্রের সদস্যরা। উদঘাটন হয় সত্য ঘটনা। কিন্তু ততক্ষণে নিভে যায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া নাজিয়ার জীবন প্রদীপ।
নির্মাতা বলেন, ‘গল্পটি বাস্তবধর্মী। সমসাময়িক এমন গল্পের নাটক প্রচারের পর লুফে নিয়েছে দর্শক। নাটকের কমেন্টস বক্সের মন্তব্যই তার প্রমাণ।’
অমি বলেন, ‘একজন স্বাধীনচেতা মেয়ের গল্প ভাইরাল গার্ল। ভাইরাল হওয়ার পর তার জীবনে কেমন কালো অধ্যায় নেমে আসে- সেটাই দেখানো হয়েছে নাটকে। ভাইরাল হয়ে পড়ার পরের ঘটনা নিয়েই নাটকের গল্প। নাটকটিতে দর্শকদের রেসপন্স আমাদের মুগ্ধ করেছে।’
‘ভাইরাল গার্ল’ প্রযোজনা করেছে টার্ন কমিউনিকেশন। পরিচালনার পাশাপাশি এটির রচনা ও চিত্রনাট্য করেছেন কাজল আরেফিন অমি। মনোজ-মেহজাবীন ছাড়া এতে আরো অভিনয় করেছেন শাহেদ আলী সুজন, মিলি বাশার, রাজু সরকার, রকি খান, রত্না খান প্রমুখ। নাটকটি লাইভ টেকনোলজির ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি সিনেমাটিক অ্যাপেও ফ্রি দেখার সুযোগ রয়েছে।