
এবার বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মায়ামি অঙ্গরাজ্যে আয়োজিত ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই) প্রায়োরিটি সামিটে এসব বরাদ্দের যৌক্তিকতা নিয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের জন্য ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের কথা।
ট্রাম্প বলেন, “বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালীকরণে একটি সংস্থার কাছে ২৯ মিলিয়ন ডলার গেছে। যেটির নাম কেউ কোনো দিন শোনেনি। তারা চেক পেয়েছে। আপনারা ভাবতে পারেন? আপনার ছোট সংস্থা আছে। আপনি এখানে ১০ হাজার পান, ওইখানে ১০ হাজার পান। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সরকার থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছি (বাংলাদেশকে দেওয়ার জন্য)। ওই সংস্থায় মাত্র দুজন কাজ করেন। আমি মনে করি তারা খুব খুশি, তারা খুবই ধনী। কয়েকদিন পর মহান ব্যক্তি হওয়ার জন্য বড় কোনো ম্যাগাজিনে তাদের ছবি প্রকাশ হবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করতে বাংলাদেশকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে। কেউ জানে না এই রাজনৈতিক পরিমণ্ডল কী। এটির মানে কী?’
এছাড়া ভারতে ভোটদানে উৎসাহী করতে ২১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আর ২১ মিলিয়ন ডলার যাচ্ছে (গেছে) আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার জন্য। আমরা ভারতকে এজন্য ২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি। আমাদের ব্যাপারে কী (বলবেন)? আমিও ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি চাই।’
এদিকে বাংলাদেশের কোন সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে দাবি করে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নির্বাচনের জন্য কোনো টাকা পায়নি। তারা বলেছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশকে ২১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়। যেগুলো প্রথমে ২০২২ সালের জুলাইয়ে ‘আমার ভোট আমার’ প্রকল্প এবং পরে ‘নাগরিক প্রকল্পের’ আওতায় ইউএসএইড এই সহায়তা দেয় বলে দাবি করে সংবাদমাধ্যমটি।