
ইসমাইলি মুসলিম সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিক নেতা যুবরাজ করিম আল হুসাইনি আগা খান চতুর্থ কে মিশরের আসওয়ানে তাঁর দাদা স্যার সুলতান মোহাম্মদ শাহ আগা খান তৃতীয়ের সমাধিতে অন্তর্বর্তীভাবে সমাহিত করা হয়েছে। নতুন সমাধি নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে এই স্থানে রাখা হবে।
আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) করিম আল হুসাইনিকে সমাহিত করা হয়েছে।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৫০তম ইসমাইলি ইমাম প্রিন্স পঞ্চম রহিম আগা খান এবং তার পরিবারের সদস্যসহ বিশ্ব ইসমাইলি সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
সম্মান প্রদর্শনের জন্য, আসওয়ানের গভর্নর নীল নদের তীরে শহরের মধ্য দিয়ে একটি মর্যাদাপূর্ণ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। প্রয়াত যুবরাজ করিম আগা খান চতুর্থের কফিনটি নৌকায় করে একটি আনুষ্ঠানিক ক্রসিংয়ে তাঁর ব্যক্তিগত স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়।
মৃতদেহকে নীল নদের উপর অবস্থিত পাহাড়ের চূড়ায় বিদ্যমান সমাধিতে সমাহিত করা হয়, যেখানে উপস্থিত নেতারা পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে আসওয়ানের গভর্নর মেজর জেনারেল ড. ইসমাইল কামাল সম্মানের নিদর্শন হিসেবে আসওয়ান শহরের একটি প্রতীকী চাবি প্রিন্স রহিম আগা খান পঞ্চমকে উপহার দেন।
দশম ও একাদশ শতাব্দীতে ইসমাইলি ইমামদের নেতৃত্বে ফাতেমীয় খিলাফতের কেন্দ্র ছিল মিশর। ফাতেমীয় ইমাম-খলিফারা কায়রো শহর প্রতিষ্ঠা করেন, যা সেই সময়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
বহুত্ববাদ, শিক্ষা ও শিল্পকলার প্রতি তাদের সমর্থন বিজ্ঞান, স্থাপত্য এবং দর্শনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করেছিল, যা তাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশ হিসেবে উত্তরাধিকারীদের মাঝে প্রতিফলিত হয়।