রাজৈরে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন

0
5

মাদারীপুরের রাজৈরে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ এনে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদে সাবেক পৌর কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক কাজী জাহিদুর রহমান লেবু।

এসময় জমি বিক্রেতা আবদুল মান্নান মিয়া ও মোঃ নুরুল ইসলামসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক কাজী জাহিদুর রহমান লেবু সাংবাদিকদের জানান, ২০০৫ সালে রাজৈর উপজেলা সদরের বেপারী পাড়ার আবদুল মান্নান ও নুর ইসলাম গংদের থেকে ১২ শতক জায়গা ক্রয় করার পর গিয়াস উদ্দিনকে ভাড়া দেই।

এরপর কিছুদিন ভাড়া পরিশোধ করলেও পরে আওয়ামীলীগের শক্তির প্রভাব খাটিয়ে ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে কয়েকবার শালিশ বৈঠকে সমাধান হলেও তা গিয়াসউদ্দিন তা মানতে গড়িমসি করে।

উপায়ন্ত না পেয়ে ২৫ নভেম্বর আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে এসে সমাধান করে দেন এবং গিয়াসউদ্দিন দখল ছেড়ে দিয়ে তার মালামাল সড়িয়ে নিলে আমার দখলে নিয়ে আমি বেড়া দেই।

তিনি আরও জানান, অভিযোগকারী সাবেক কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া একজন আওয়ামীলীগ নেতা এবং হত্যা মামলার আসামী। সে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ১৭ বছর আমার ১২ শতাংশ জায়গার কিছু অংশ ভাড়া না দিয়ে জোর করে ভোগ করে আসছিল।

আমি জায়গা ছেড়ে দিতে বললে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এসময় জমি বিক্রেতা আবদুল মান্নান মিয়া ও মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, এ জমি আমরা দুইজন যথা নিয়মে লেবুর নিকট ২০০৫ সালে বিক্রি করেছি। লেবুই এ জমির প্রকৃত মালিক। তবে সোমবার রাতের অন্ধকারে ওই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ এনে গিয়াস উদ্দিন মিয়া সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাবেক রাজৈর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহিদুর রহমান লেবু রাতের আধারে আমার স্যানিটারী সামগ্রী (রিং, স্লাব) ভাংচুর, লুটপাট চালায় এবং চারিদিকে খুটি গেড়ে বাশের প্রাচীর দিয়ে আমার জায়গা তার দখলে নিয়েছে। আমি বাধা দিতে গেলে সে আমাকে স্ব-পরিবারে হত্যার হুমকি দেয়।

আমি এর প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার(২৪-১২-২৪) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করি। ওই দাগে মোট ১৫ শতাংশ জায়গা আছে। এর মধ্যে ৮.৩৫ শতাংশ জায়গা কাজী জাহিদুর রহমান লেবুর এবং ৪.৫০ শতাংশ জায়গা আমার। বাকি জায়গা মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খানের।

কে এম আবু বক্কার
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার