রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির চার ধরনের বাইক, আকর্ষণীয় সব ফিচার

0
12
রয়্যাল এনফিল্ড
রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির চার ধরনের বাইক, আকর্ষণীয় সব ফিচার

প্রাচীনতম ব্রিটিশ টুহুইলার ব্র্যান্ডের নতুন নতুন আকর্ষণীয় ফিচার নিয়ে বাজারে লঞ্চ করা হলো রয়্যাল এনফিল্ডের চার ধরনের বাইক।  ক্লাসিক, বুলেট, হান্টার ও মিটিওর নামে বাইকগুলো দেখা যাবে দেশের রাস্তায়।

এবার চলুন, জানা যাক এই আইকনিক মডেলগুলোর প্রধান ফিচারগুলো সম্পর্কে।

রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০

রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ এর প্রধান বৈশিষ্ট্যে হলঃ এটির মধ্যে রয়েছে ক্র্যাঙ্ক আর্মের ৬ হাজার ১০০ আরপিএম (রিভোলিউশ্যন পার মিনিট) ঘূর্ণন ক্ষমতা। বাইকের মাইলেজ ৪১ কিমি প্রতি লিটার।

তাছাড়াও রয়েছে গতি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ২০ দশমিক ২ বিএইচপির (ব্রেক হর্সপাওয়ার)। এটি ৪ হাজার আরপিএমের প্রতি ফুট দূরত্বে সরবরাহ করবে ১৯ পাউন্ড টর্ক।

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ এর বডিকে ঠান্ডা রাখার জন্য রয়েছে শীতলীকরণ প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ একক সিলিন্ডার।

সামনের সাস্পেনশনে রয়েছে ৪১ মিলিমিটার টেলিস্কোপিক ফর্ক। আর পেছন থেকে একে সাপোর্ট দেয় টুইন সাইড সুইং আর্ম।

সামনে ও পেছনে উভয় দিকেই আছে হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক, যেটি এবিএস (অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম)-এর কাজ করবে। যাবতীয় যান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে শক্তিশালী ৩৪৯ সিসির ইঞ্জিন।

রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০

এটির ইঞ্জিন ও ক্র্যাঙ্ক শিফটিং ক্লাসিকের মতোই। তবে পার্থক্য হচ্ছে গতি সামলানোর জন্য ক্র্যাঙ্কটি ৪ হাজার আরপিএম-এর প্রতি ফিট দূরত্বে ১৯ দশমিক ৯ পাউন্ড টর্ক পাবে। প্রতি লিটারে এই বাইক মাইলেজ দেয় ৩৮ কিলোমিটার। ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ১৩.৫ লিটার।

এর যদি ১৩ লিটারের জ্বালানি ট্যাঙ্ক পুরোটা ভরে নেওয়া হয় তবে মাইলেজ পাওয়া যাবে ৩০০-এরও বেশি। এতে রয়েছে ইউএসবি চার্জিং পোর্ট। আরামদায়ক ভ্রমনের জন্য এনফিল্ড বুলেটের সিট সেট-আপ ডুয়্যাল এবং মোটা-প্যাডের যা ৮০৫ মিলিমিটার উচ্চতায় চালক ও যাত্রীর বসার জায়গাকে আরামদায়ক করে তোলে।

রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০

রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার যা প্রযুক্তিগত দিক থেকে চার মডেলের মধ্যে সবার প্রথম। অন্য দুটোর মধ্যে এখানেও একক সিলিন্ডার আর ইঞ্জিন ৩৪৯ সিসির। এক লিটার তেলে হান্টার মাইলেজ দেয় ৩৬। কিলোমিটার।

গতির ক্ষেত্রে ৬ হাজার ১০০ আরপিএমের সঙ্গে ব্রেকিং ক্ষমতা ১৪ দশমিক ৮৭ কিলোওয়াট বা ১৯.৯ এইচপি (১ কিলোওয়াট = ১ দশমিক ৩ হর্সপাওয়ার)।

হর্সপাওয়ারের হিসেবে এটি ক্লাসিক ও বুলেট থেকে কিছুটা কম। অবশ্য ৪ হাজার আরপিএমে সরবরাহ করা টর্ক ২৭ এনএম (নিউটন-মিটার)। প্রতি ফুট দূরত্বে পাউন্ডের হিসেবে এটি প্রায় ১৯.৯ পাউন্ড (১ পাউন্ড টর্ক = ১ দশমিক ৪ এনএম) অর্থাৎ বুলেটের টর্কের সমান। একই সঙ্গে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে সামনে ও পেছনের এবিস সমৃদ্ধ হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক।

হান্টারের ওজন সর্বোচ্চ ১৮১ কেজি এবং বসার জায়গাটির উচ্চতা ৭৯০ মিলিমিটার। অ্যালুমিনিয়ামের চাকাগুলোতে লাগানো টায়ারগুলো টিউবলেস। এ সবকিছুর মধ্যে ডিজিটাল পাওয়ার আউটলেটটি আলাদাভাবে নজর কাড়ে।

রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০

মিটিওর ওজন, সিলিন্ডার ও ক্র্যাঙ্ক ঘূর্ণনের গতি পুরোটাই ক্লাসিক মডেলের মতোই। আর গতি নিয়ন্ত্রণের টর্কের সাদৃশ্য রয়েছে হান্টারের সঙ্গে।

এর রয়েছে আরামদায়ক রাইডিং অভিজ্ঞতা যা অন্যান্যগুলোর থেকে একে আলাদা। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো মিটিওর ইঞ্জিন ও গিয়ারের মাঝে সম্পর্ক এতোটাই নিখুঁত যার কারণে গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেলেও চালক কম্পন অনুভব করবে না।

গ্রাউন্ড থেকে বসার অবস্থানের ডুয়্যাল সিট পর্যন্ত উচ্চতা ৭৬৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার। বাকি বডি থেকে শুরু করে সাস্পেনশন ও হুইল আর্মার এবং ডিজিটাল যন্ত্রাংশ সব অন্য ৩ মডেলের মতোই।

যাইহোক ক্লাসিক, বুলেট, হান্টার বা মিটিওর প্রত্যেকটি মডেল দেশের রাস্তায় বাইক রাইডিংকে আরও বেশি রোমাঞ্চকর করে তুলবে।