গোপালগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর গাড়ি বহরে আওয়ামী লীগের হামলা ঘটনা ঘটেছে। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলি দিদারসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টম্বর) বিকেল ৫টার দিকে জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভা শেষ করে নেতা-কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর বাড়ি টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে এ হামলার শিকার হন।
আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, তিনজনকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হাসপাতাল এবং তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে আওয়ামী লীগের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে সেখানে থাকা এখানে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
এর এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি নেতাদের ওপর ও বেশ কিছু গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম লেলিন বলেন, টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে ঘোনাপাড়া মোড়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রী রওশন আরা রত্নাসহ অনেকে আহত হয়েছেন।
গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের অনেক নেতা আহত হয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি কে এম আবুবক্কার