আজ মঙ্গলবার (২৭ জুন) পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানিনমাতা লাকা ওয়ালমুল্ক লা শারিকা লাক’ ধ্বনি-মধুধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে পবিত্র আরাফাতের পাহাড়-ঘেরা ময়দান ছাপিয়ে আকাশ-বাতাস মুখর ও প্রকম্পিত আজ।
এ বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে রোববার। সোমবার রাতও পবিত্র মিনায় অতিবাহিত করেন হজযাত্রীরা।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতিহাসে এবারই (২০২৩ সালে) সবচেয়ে বেশি হাজির পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে কাবা প্রাঙ্গণ। কাবা ঘর প্রদক্ষিণ করেছেন বিশ্বের ১৬০টি দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হাজি।
ইতিহাসের সবচেড়ে বড় হজ হওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এ বছর, আমরা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হজ প্রত্যক্ষ করছি।’
আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। হাজিরা ফজরের নামাজের পর মিনার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের কার্যক্রম শুরু করেন। আর শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে আগামী ১২ জিলহজ এই আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভালোভাবে বিশ্রামে থাকা নিশ্চিত করতে মিনা এলাকায় হাজার হাজার তাঁবু স্থাপন করেছে। এখানে অবস্থানকালে হজযাত্রীরা সারারাত কোরআন তেলাওয়াত ও নামাজ আদায় করছেন।
মূলত তাঁবুর শহর নামে পরিচিত মিনা প্রান্তরে পৌঁছানোর মাধ্যমে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। হজের পাঁচ দিনের প্রথম দিন মিনায় অবস্থান করতে হয়। এখানে অংশ গ্রহণ করা এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকা সুন্নত।
মিনায় অবস্থানের পর পর্যায়ক্রমে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, মুজদালিফায় রাতযাপন এবং জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানিসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন হাজিরা। জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১২ জিলহজ শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।