আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন আজ। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শনিবার সকাল ৭টায় সম্মেলনে ঢোকার গেট খুলে দেয়া হয়। এরপর কাউন্সিলর-ডেলিগেটরা ঢুকতে শুরু করেছেন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মঞ্চে আসন গ্রহণ করবেন। এরপরই আধা ঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে। এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর এবং লক্ষাধিক ডেলিগেট ও নেতাকর্মী অংশ নেবেন।
শনিবার বিকেল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
দুই ভাগে বিভক্ত সম্মেলনের শেষ ভাগে হবে দলটির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন। ওই নেতৃত্বের সামনে থাকছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার চ্যালেঞ্জ। দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে নতুন নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে হবে নির্বাচনী জয়ের দিকে।
তবে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে দলে বড় পরিসরে পরিবর্তনের ঝুঁকিতে যাবে না ক্ষমতাসীন দল। নির্বাচনের এক বছর আগে এটা করে দল গোছানো সহজতর হবে না বলে তারা মনে করেন।
অবশ্য ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও বিতর্কিতদের ছেঁটে ফেলতে পারে। এটা সম্ভব হলে আওয়ামী লীগের জন্য ভালোই হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।