বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হওয়ার লক্ষ্য উত্তর কোরিয়ার বলে জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
শনিবার উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, হাওয়াসং-১৭-এর সাম্প্রতিক উৎক্ষেপণের সাথে জড়িত কয়েক ডজন সামরিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার সময় তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি’র (কেসিএনএ) বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া এর জনগণের মর্যাদা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য একটি পারমাণবিক বাহিনী তৈরি করছে। তিনি আরো বলেন, তার দেশের চূড়ান্ত লক্ষ্য বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তিশালী কৌশলগত শক্তির অধিকারী হওয়া এবং এই শতাব্দির তুলনাহীন এক সামরিক কাঠামো দাঁড় করানো।
এর আগে গত শুক্রবার উত্তর কোরিয়া ১৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার হাওয়াসং-১৭ আইসিবিএম-এর পরীক্ষামূলক নিক্ষেপণ চালায়। ক্ষেপণাস্ত্রটির যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার সক্ষমতা রয়েছে।
ওই সময় কিম জং উন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন, আমাদের দল ও সরকারের প্রতি শত্রু দেশগুলো হুমকি সৃষ্টি করলে আমরা পরমাণু অস্ত্র দিয়ে কঠোর জবাব দেব, সর্বাত্মক সঙ্ঘাতে নিয়োজিত হবো।
সংবাদ সংস্থাটি জানায়, শুক্রবার হাওয়াসং-১৭ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের লক্ষ্য ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ও চূড়ান্ত পরমাণু শক্তি অর্জন। এতে দাবি করা হয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র ’বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত অস্ত্র।’
উত্তর কোরিয়া দীর্ঘ দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হুমকি থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে বলে দাবি করে আসছে।