মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হয়েছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি দেশটির দশম প্রধানমন্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শপথ গ্রহণ করবেন তিনি।
সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে। কিন্তু সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১১২ আসনের সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনো দল বা জোট পায়নি।
পাকাতান হারাপান জোট এবং নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের মালায়-মুসলিম পেরিকাতান ন্যাশনাল জোট সরকার গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করেছে। এছাড়াও রয়েছে সাবাহ রাজ্যের বোর্নিও এবং সারাওয়াক। পাশাপাশি রয়েছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঐতিহাসিক পরাজয়ের আগে প্রায় ৬০ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকারী জোট বারিসান ন্যাশনাল (বিএন)।
যদি তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারে তাহলে মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান আব্দুল্লাহ সুলতান আহমদ শাহ আনোয়ার ও মুহিউদ্দিনের সাথে বৈঠকে বসেন। পাশাপাশি বৈঠক করবেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সাথে। যেখানে তিনি নতুন সরকার কাকে দেয়া যায় সে বিষয়ে মতামত গ্রহণ করবেন।
বৃহস্পতিবার রাজপরিবারের বৈঠকের পর আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন রাজা সুলতান আব্দুল্লাহ। কারণ মালয়েশিয়ার ২২২ সংসদ সদস্যদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন ছিল তার পক্ষে।
রাজা সুলতান আবদুল্লাহ বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় রাজপ্রসাদে শপথ গ্রহণ করবেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
মালয়েশিয়ার ১৫তম সাধারণ নির্বাচনে ২২০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮২টি আসন পেয়েছে আনোয়ার ইব্রাহিম নেতৃত্বাধীন পাকাতান হারাপান জোট। নিকটতম জোট মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের পেরিকাতান ন্যাশনাল পেয়েছে ৭৩টি আসন।
এছাড়া সাবেক জোট সরকার বারিসান ন্যাশনাল নেই তাদের ধারে কাছেও। তারা পেয়েছে মাত্র ৩০টি আসন।
মালয়েশিয়ায় গণতান্ত্রিকভাবে সংসদীয় ব্যাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করেন। দেশটিতে রাজতন্ত্র বিদ্যামান থাকলেও দেশ পরিচালনায় রাজা কোনো হস্তক্ষেপ করেন না। দেশ পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রী।