সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হেরে গেছেন। এটি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের প্রথম নির্বাচনী পরাজয়। আর এর মাধ্যমে তার সাত দশকের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অবসান ঘটতে পারে। তিনি কেবল পরাজিতই হননি, জামানত পর্যন্ত খুইয়েছেন।
মাহাথির (৯৭) প্রায় দুই যুগ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এবার তিনি লঙ্কাভি আইল্যান্ডে তার আসনটি রক্ষা করতে সক্ষম হননি। পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে তিনি চতুর্থ হয়েছেন।
এই আসনে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিনের পেরিকাতান অ্যালায়েন্সের প্রার্থী মোহাম্মদ সুহাইমি আবদুল্লাহ জয়ী হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে মাহাথিরের জোট দুর্নীতিগ্রস্ত বারিসান ন্যাশনাল সরকারকে উৎখাতের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু তিনি ও তার জোট সাড়া জাগাতে পারেননি।
আলজাজিরার ফ্লোরেন্স লুই কুয়ালামপুর থেকে বলেন, ‘বড় বিস্ময়কর ঘটনা হলো, মাহাথির কেবল হারেননি, তিনি হেরেছেন ভয়াবহ বিপর্যয়রভাবে।’
তিনি বলেন, ‘তিনি কেবল তার আসনে হারেননি, তার জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তিনি কাস্ট হওয়া ভোটের আট ভাগের এক ভাগও পাননি। তার দলও একটি আসনেও জয়ী হতে পারেনি।’ এবারের নির্বাচনে তিনি হোমল্যান্ড ফাইটার্স পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেন।
অর্ধ শত বছরের মধ্যে এটি ছিল ৯৭ বছর বয়স্ক মাহাথিরের প্রথম নির্বাচনী পরাজয়। তিনি ১৯৮১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে তিনি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসেন। ২০১৮ সালে তিনি তার ৯৩তম জন্মদিনের মাত্র দুই মাস আগে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মতে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী’ হন।
সূত্র : আলজাজিরা