পূর্ব ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে বুধবার স্থানীয় সময় সকালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুজন নিহত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়ার নির্মিত হলেও কোন পক্ষ তা নিক্ষেপ করেছে, তা নিয়ে দ্বিধা সৃষ্টি হয়েছে। ইউক্রেন এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে দায়ভার রাশিয়ার ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে যে কথা ওঠেছে, ইউক্রেন তাকে ষড়যন্ত্রমূলক হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে রাশিয়াই যদি এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে থাকে, তবে যুদ্ধ ব্যাপক পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রজেজ দোদা বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র কে নিক্ষেপ করেছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র কে নিক্ষেপ করেছে, তার সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। সম্ভবত এটি রুশ-নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র। তবে এখন তা নিয়ে তদন্ত চলছে।’
পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এটাকে ‘পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে পরিকল্পিত উস্কানি’ প্রদান বলে অভিহিত করেছে।
এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘রুশ বাহিনী ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তের টার্গেটের ওপর কেনো ধরনের হামলা চালায়নি।’ এতে বলা হয়, সেখানে যেসব ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে রাশিয়ার কিছুই করার নেই।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, পোল্যান্ডে বিস্ফোরণের ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
তিনি রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’
আলজাজিরার জোনাহ হাল কিয়েভ থেকে বলেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে তা হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটা। আর সেক্ষেত্রে যুদ্ধ ন্যাটো ভূখণ্ডে সরাসরি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, এমন হতে পারে যে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ‘টার্গেট মিস করেছে, কিংবা ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এগুলোর গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তবে এখনই এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।
এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনে আরো বেশি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ সহায়তা প্রদান করা হবে ধারণা করছেন যুক্তরাজ্যের রুশির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ স্যাম রামানি। তিনি বলেন, ন্যাটো এখন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াবে।
তিনি বলেন, এ কাজে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যরাও তার অনুসরণ করবে।
সূত্র : আলজাজিরা