নতুন নির্বাচনের দাবিতে লংমার্চে নামা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান হত্যার চেষ্টা করার জন্য দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও সেনাবাহিনীতে কর্মরত এক মেজরকে দায়ী করেছেন।
গত শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে এই অভিযোগ করেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারে পাঞ্জাবের এক জনসভায় হামলার পর এই প্রথম তিনি প্রকাশ্যে এলেন। গত এপ্রিলে তার পদত্যাগের পর শাহবাজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
ইমরান খান বলেন, ওই তিনজন তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর হামলায় দুই বন্দুকধারী জড়িত ছিল। সরকার অবশ্য দৃঢ়ভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আর এক বন্দুকধারীকে হত্যাচেষ্টার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ‘ধর্মীয় চরমপন্থার’ কারণে তিনি এ কাজ করেছেন।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণসংযোগ বিভাগও ইমরান খানের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও দায়িত্বহীন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর ওই হমালার ফলে দেশটিতে রাজনৈতিক সঙ্কট আরো তীব্র হয়েছে। ওই হামলায় একজন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হন। ইমরান খান হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে আগাম নির্বাচনের দাবি পূরণে ইসলামাবাদ যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন।
হুইলচেয়ারে বসা ইমরান খানের বাম পায়ে ভারী ব্যান্ডেজ দেখা যায়। তিনি এক ঘণ্টারও বেশি সময় কথা বলেন। তিনি দেশব্যাপী নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দেন। তিনি বলেন, সুস্থ হওয়ামাত্র তিনি ইসলামাবাদ অভিমুখী লংমার্চে যোগ দেবেন।
পাকিস্তানি সাংবাদিক হাসান খান আলজাজিরাকে বলেন, তিনি খুব তাড়াহুড়া করে অভিযুক্তদের নাম বলে ফেলেছেন।
সূত্র : আলজাজিরা