অবশেষে ৮ সেপ্টেম্বর ভেঙে গেল হানি সিং-এর ২০ বছরের দাম্পত্য জীবন। তবে এর জন্য এই গায়ককে চোকাতে হল ১ কোটি। দিল্লির সাকেত পারিবারিক আদালতে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। যেখানে প্রাক্তন স্ত্রীর হাতে ১ কোটির চেক তুলে দেন হানি।
২০২১ সালে হানি সিং-এর নামে যৌন হেনস্থা, মানসিক নির্যাতন, ও আর্থিক নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন হানির তৎকালীন বউ শালিনী তলওয়ার। চলতি সপ্তাহেই হল বিচ্ছেদ দিল্লির পারিবারিক আদালতে। ১ কোটি দিতে হল খোরপোষ গায়ককে।
২০১১ সালে তাঁরা শিখ রীতি অনুযায়ী দিল্লির ফার্ম হাউজে তাঁরা বিয়ে করেন। ২০১৪ সালে প্রথমবার রিয়ালিটি শো রকস্টার এর একটি পর্বে দর্শকদের সঙ্গে স্ত্রী শালিনী তলওয়ারের পরিচয় করিয়ে দেন হানি সিং। তার আগে হানি সিং যে বিবাহিত তা জানা ছিল না অনেকেরই।
শারীরিক হিংসা, যৌন হিংসা, মানসিক উৎপীড়ন এবং আর্থিক তছরুপের মতো অভিযোগ করা হয়েছিল হানির বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্ত্রীর তরফে। ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছিল ২০ কোটির। শালিনী জানিয়েছিলেন, তাঁদের হানিমুনের সময় থেকেই হানি তাঁর গায়ে হাত তোলা শুরু করেন।
সঙ্গে বরের মদের নেশা, একাধিক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেন শালিনী। বলেছিলেন, শ্বশুরবাড়ি থেকে আটকে রাখা হয়েছে স্ত্রী ধন।
প্রথমদিকে চুপ থাকলেও পরে মুখ খোলেন হানি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতি দিয়ে লেখেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে আমার ২০ বছরের সঙ্গিনী তথা স্ত্রী শালিনী তলওয়ার মিথ্যে অভিযোগ আনায় আমি ব্যথিত।
এতদিন নিজের গান নিয়ে সমালোচনা, স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব, নেতিবাচক মিডিয়া কভারেজ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলিনি। তবে এবারে মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ এবার আমার বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট বোনকে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাঁরা কঠিন সময় আমার পাশে ছিলেন। অভিযোগগুলি নিন্দনীয় এবং অসম্মানজনক’।
জানা যাচ্ছে হানি আর শালিনীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে। তখনই পরবর্তী পদক্ষেপ নির্দিষ্ট করা হবে।