ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ। বুধবার (২৪ আগস্ট) তার হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিএফআইইউ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ২৯ আগস্টের মধ্যে তাকসিমের ব্যাংকের যাবতীয় হিসাব ও লেনদেনের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, তাকসিম এ খানের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব জমা ও উত্তোলনের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৭ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খানকে গত ১৩ বছরে কী পরিমাণ বেতন-বোনাস, টিএডিএসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া হয়েছে, সে তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট। প্রতিবেদন আকারে ৬০ দিনের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওই সব তথ্য আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার ও সার্ভিস (বেতন ও সুবিধাদি) অর্ডার লঙ্ঘন করে ওয়াসার এমডিকে অযৌক্তিক ও উচ্চ বেতন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন গত মাসে ওই রিট করেন।
গত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়িয়েছে ঢাকা ওয়াসা। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হয়েছে সংস্থার এমডি তাকসিম এ খানের বেতনও।
সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে একলাফে ওয়াসার এমডির বেতন বাড়ানো হয়েছে পৌনে দুই লাখ টাকা। এই বৃদ্ধির পর ওয়াসার এমডি হিসেবে তার মাসিক বেতন দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকায়।
এ হিসাবে গত ১২ বছরে তাকসিম এ খানের মাসিক বেতন বেড়েছে ৪২১ শতাংশ। এদিকে তাকসিমের পরে যারা ওয়াসার এমডি হবেন, তারা যেন এ পরিমাণ বেতন না পান, সেটিও নিশ্চিত করেছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।