বোনকে রক্ষায় ভাইকে বেধড়ক পেটাল বখাটের দল

0
45
বোনকে রক্ষায় ভাইকে বেধড়ক পেটাল বখাটের দল
বোনকে রক্ষায় ভাইকে বেধড়ক পেটাল বখাটের দল

বোনকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাইকে বেধড়ক মারধর করেছে তিন বখাটে। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউপির আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন মনুপাড়া এলাকায়। বোনের ইজ্জত রক্ষায় ভাইয়ের প্রাণপণ চেষ্টা এবং বেধড়ক মার খাওয়ার ভিডিওটি শনিবার (১১ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় বখাটেরা ফিল্মি স্টাইলে নাফিসা আক্তার (১৪ ) নামের এক তরুণীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বোনকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন ওই তরুণীর ভাই আব্দুল মোনাফ। বখাটেদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বোনকে রক্ষা করতে পারলেও বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন মোনাফ।

ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল মোনাফ বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পে আমাদের ফ্ল্যাট থেকে মঙ্গলবার (৩১ মে ২০২২) আমার বোন মামার বাড়ি যাচ্ছিল। পথে খুরুশকুল মনুপাড়ার জামাল-রায়হানরা আমার বোনকে নোংরা ভাষায় কটূক্তি করে। ‘আমার বোন নীরবে বাড়ি ফিরে আসতে চাইলেও বখাটেরা বারবার তার পথ আটকাচ্ছিল।

আমি প্রকল্প থেকে এসব দেখে দৌড়ে আসি। জিজ্ঞেস করার সঙ্গে সঙ্গে তারা আমার বোনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তখন আমি বোনকে জড়িয়ে ধরি। বোনকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় তারা আমাকে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে। তাদের দফায় দফায় মারধরের এক পর্যায়ে বোনসহ আমি মাটিতে পড়ে যাই। ওই অবস্থায় তারা আমাকে মারধর করতে থাকে।

তিনি বলেন, ‘৩১ মে রাতে আবদুল মোনাফ কক্সবাজার সদর থানায় একটি অভিযোগ নিয়ে আসেন। সেখানে অভিযোগ ছিল কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন।

বিষয়টি আমলে নিয়ে একজন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। তদন্তে এক তরুণীকে নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কথা শুনতে পান তদন্ত কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী তরুণকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি চেনেন না বলে দাবি করেন। ফলে বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়।’

মোনাফ অভিযোগ করেন, সেদিন আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে যান। পরে থানায় অভিযোগও দেন। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এ ঘটনার পরও দুর্বৃত্তরা মোনাফকে হুমকি দিয়ে গেছে। তবে, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তারা সবাই এখন পালিয়েছে বলে দাবি করেন মোনাফ।

এদিকে মোনাফের অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি নাছির উদ্দিন মজুমদার। তার দাবি, তারা এমন ঘটনার কোনো অভিযোগ পাননি। তবে শনিবার রাতে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি।

এদিকে ভাইরাল ভিডিওর সূত্র ধরে রোববার ভোরে প্রহারকারী কিশোরের গ্যাংয়ের দুই সদস্য রায়হান ও আরমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াসের।