আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার তিনদিন আগেই প্রত্যেক যাত্রীকে অনলাইনে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। বুধবার (২০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বেবিচক। একই সঙ্গে উড়োজাহাজে যাত্রী সংখ্যার ওপর বিধিনিষেধও শিথিল করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা জারি না করা পর্যন্ত এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যাত্রীদের দেশে আসার তিন দিন আগেই হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। তারা http://healthdeclaration.dghs.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে ফরম পূরণ করবেন। ফরমটি পূরণ করার পর কিউআর কোড যুক্ত একটি হেলথ কার্ড আসবে। সেটি প্রিন্ট করে কিংবা সফট কপিটি (মোবাইলে) নিজের কাছে রাখতে হবে।
কোনো দেশে ট্রানজিট হয়ে বাংলাদেশে এলে ট্রানজিট এয়ারপোর্টে চেক-ইন করার আগে নতুন করে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। বোর্ডিংয়ের সময় এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীদের হেলথ কার্ড আছে কিনা যাচাই করবে। দেশে আসার পর বিমানবন্দরে যাত্রীকে কিউআর কোডযুক্ত হেলথ কার্ড বা মোবাইলে সফট কপি দেখাতে হবে।
বেবিচকের অনলাইন হেলথ ডিক্লারেশন ফরমে যাত্রীর করোনার আক্রান্তের তথ্য, টিকা, জ্বর-কাশিসহ নানা তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে। এতদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৈরি কাগজের হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করে দেশে প্রবেশ করতে হতো। দেশে প্রবেশের পর ইমিগ্রেশন কাউন্টারের আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাউন্টারের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হতো যাত্রীদের।
বাংলাদেশে আগত যাত্রীদের জন্য নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধ অনুযায়ী, যেসব যাত্রী করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন, তাদের আরটি পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে না। তবে সেক্ষেত্রে যাত্রীদের টিকা সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
আর যেসব যাত্রী এক ডোজ কিংবা কোনো টিকা নেননি, তাদের বাংলাদেশে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। ১২ বছরের নিচে শিশুদের কোনো করোনা টেস্ট করাতে হবে না। তবে তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনাগুলো মানতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতে করোনা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থাকছে না। যাত্রীরা যে দেশে যাবেন, সেখানকার নির্দেশনা অনুসরণ করবেন বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।