আগামী ডিসেম্বরে হতে পারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। প্রতিবারের মতো এবারও মূল আলোচনা সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরকম আলোচনায় অনেকগুলো নাম নিয়েই কথাবার্তা হচ্ছে নেতাকর্মীদের মধ্যে।
আওয়ামী লীগের যাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে সেরকম কয়েকজনের মধ্যে রয়েছেঃ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান। এছাড়াও টানা তিনবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বেশ কয়েকবার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা মাহবুবউল আলম হানিফের নামও আসছে জোরালোভাবে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ড. হাছান মাহমুদও আছেন সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আলোচনায়।
দলীয় সূত্র জানায়, গত জাতীয় সম্মেলনের আগে দলের সাংগঠনিক পর্যায়ের কয়েকজন নেতাও সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় ছিলেন। এর মধ্যে বর্তমান নৌপরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অন্যতম। এবার তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেই। তবে আলোচনায় আছেন। নতুন করে আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন দুই সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও মির্জা আজম। সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরীর নাম। তিনি সংসদীয় দলের সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগকে বিরোধীদের অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা, ভোটের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়। আগামী সম্মেলনে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সক্ষম, সাহসী, ত্যাগী ও সৎ নেতাদেরই কাউন্সিলর ও ডেলিগেটররা নির্বাচিত করবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
তবে আওয়ামী লীগের রেওয়াজ হচ্ছে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব করা হয় কাউন্সিলে। আর এটি হ্যাঁ/না ভোটে পাস হয়। যে কারণে প্রস্তাবনার ওপর নির্ভর করছে, কে হচ্ছেন আগামীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও বেশ কয়েকটি পদে রদবদলসহ নতুন যুক্ত হবেন ৮-১০ জন।
৬৪টি জেলা ও ১২টি সিটি করপোরেশনসহ আওয়ামী লীগের মোট সাংগঠনিক জেলা কমিটি ৭৮টি। এসব জেলার আওতায় ৬২২টি উপজেলা কমিটি, ৫ হাজার ৬৪৩টি ইউনিয়ন কমিটি ও ৪৩ হাজার ৫৯৬টি ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে।