পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সব এমপিসহ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। সোমবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভবনে দলের এমপিদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার অ্যাসেম্বলিতে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট হবে। তার আগেই জাতীয় পরিষদ ভবনে উপস্থিত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তারপর দলের সব এমপির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকে ইমরান দলীয় এমপিদের উদ্দেশে ইমরান খান বলেন, ‘আমরা কোনো পরিস্থিতিতেই আর জাতীয় পরিষদে অধিবেশনে বসব না। দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, যারা নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তাদেরকে ধারাবাহিকভাবে চাপে রাখতে হবে।’
‘আর এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে আমরা সবাই পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করব।’ বৈঠকে অবশ্য বেশিরভাগ এমপিই প্রথম দিকে ইমরানের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেন। তারা যুক্তি দেন— যদি পিটিআইয়ের এমপিরা পদত্যাগ করে, সেক্ষেত্রে মাঠ ফাঁকা হয়ে যাবে এবং বিরোধীদের জন্য আরও সুবিধা হবে।’
এই পর্যায়ে ইমরান বলেন, ‘আমি হব পদত্যাগ করা প্রথম এমপি এবং অন্য কেউ যদি পদত্যাগ করতে না চায়, তবুও আমি পদত্যাগ করব।’
ইমরানের এই বক্তব্যের পর এমপিরা তার নির্দেশ মেনে নেন এবং বলেন, এ ব্যাপারে দলনেতার নির্দেশ অনুযায়ীই পদক্ষেপ নেবেন তারা।
পাকিস্তানের ৩৪২ সদস্যের পার্লামেন্টে এখনো এককভাবে ইমরানের দল পিটিআইর সদস্য বেশি। এই দলের ১৫৫ জন সদস্য রয়েছেন পার্লামেন্টে। শাহবাজের দল মুসলিম লিগের সদস্য ৮৪ জন। প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর দল পিপিপির সদস্য ৫৬ জন। পিপিপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেনজিরের ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো।