ছিনতাই-চুরি-ডাকাতির পর মামলা না নিলে ব্যবস্থা: ডিবি

0
86
ছিনতাই-চুরি-ডাকাতির পর মামলা না নিলে ব্যবস্থা: ডিবি
ছিনতাই-চুরি-ডাকাতির পর মামলা না নিলে ব্যবস্থা: ডিবি

ছিনতাই-চুরি-ডাকাতির পরও কোনো থানা মামলা না নিলে বা মামলা নিতে গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম।

তিনি জানান, ছিনতাই, চুরি বা ডাকাতি হওয়ার পরও কোনো থানা মামলা না নিলে বা মামলা নিতে গড়িমসি করলে অভিযোগ জানাতে হবে। এ-সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনার আলোকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এর আগে ঈদ সামনে রেখে রাজধানীতে বেপরোয়া হয়ে ওঠা ছিনতাইকারী চক্র ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানে তাদের হাতে গ্রেফতার হয় চক্রের ২৭ সদস্য।

শুক্রবার ও এর আগে বুধবার রাজধানীর হাজারীবাগ, চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও শাহবাগ এলাকায় ধারাবাহিকভাবে এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে লোহার রড, দা, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম জব্দ করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন আবদুর রহমান শুভ, ইয়াছিন আরাফাত জয়, বাবু মিয়া, মো. ফরহাদ, হৃদয় সরকার, আকাশ, জনি খান, মো. রোকন, মেহেদী হাসান ওরফে ইমরান, মনির হোসেন, মো. জুয়েল, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে মাইকেল, মো. আজিম ওরফে গালকাটা আজিম, মো. শাকিল ওরফে লাদেন, ইমন, মো. রাজিব, রাসেল, মিন্টু মিয়া ওরফে বিদ্যুৎ, মো. মাসুদ, তাজুল ইসলাম মামুন, মো. সবুজ, মো. জীবন, রিয়াজুল ইসলাম, মুন্না হাওলাদার, শাকিল হাওলাদার, মো. ফেরদৌস ও আবুল কালাম আজাদ।

কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও অজ্ঞান-মলম পার্টির দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ছিনতাই, ডাকাতি ও দস্যুতার প্রস্তুতিকালে ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবারের অভিযানে গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, তারা দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস স্টপেজে অবস্থান করে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে। পরে যাত্রীবেশে বাসে উঠে সুযোগ বুঝে টার্গেট ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনানাশক উপাদান প্রয়োগে অচেতন করে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালিয়ে যায়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও রেকর্ড অনুসন্ধান করে ২০ জনের বিরুদ্ধে চুরি, দস্যুতা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকসহ একাধিক মামলা পাওয়া গেছে।