সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা নেইঃ প্রতিমন্ত্রী

0
77
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা নেইঃ প্রতিমন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা নেইঃ প্রতিমন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।  সেই সঙ্গে এর কারণও ব্যাখ্যা করেন প্রতিমন্ত্রী।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাতের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে।

এ কারণে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে উচ্চমাধ্যমিক এবং ২৩–২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকেন। 

সাধারণ প্রার্থীদের জন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য অন্তত ছয় থেকে সাত বছর সময় পেয়ে থাকেন।  এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে কোনো প্রার্থী চাকরির আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে।  এতে করে যাঁদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

প্রসঙ্গত, চাকরি প্রত্যাশীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ বছর করার দাবি করে আসছিল।