করোনা ভ্যাকসিন না নেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নামতে পারেননি নোভাক জকোভিচ। যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সরকার জোকারের ভিসা বাতিল করে দিয়েছিল। সেদেশ থেকেও তাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। যে ভ্যাকসিন তিনি নেবেন না।
তবে তাকে নিয়ে নাটকের শেষ না হলেও, তিনি নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে জকোভিচ দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে ২০২২ মৌসুমটা শুরু করবেন। টোকিও অলিম্পিকে সোনা ছুতে না পারলেও, প্যারিস অলিম্পিকে তার লক্ষ্য যে সোনা। তা এখন থেকেই জানিয়ে দিচ্ছেন সার্বিয়ান এই টেনিস তারকা। পাশাপাশি ভ্যাকসিন জটে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা না হলেও, মেলবোর্ন কোর্টে ফেরার ব্যাপারেও তিনি আশাবাদী।
সার্বিয়ার রেডিও টেলিভিশনে তিনি বলেন, একটা অলিম্পিক পদক, বিশেষ করে সোনার পদক পাওয়ার ইচ্ছাটাই সব সময় রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত আমি গতবার সেটার জন্য লড়তে পারিনি। তবে ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছি।
টোকিও অলিম্পিকে আলেকজান্ডার জেরেভের কাছে সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। এবং ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচে স্পেনের পাবলো ক্যারেনো বুস্তার কাছে হেরে যান তিনি। পরে অলিম্পিকে নিজের ভুলগুলো খুঁজে বের করার জন্য একাধিকবার ম্যাচের ভিডিও দেখেছেন তিনি। একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি টোকিওতে জেরেভের সঙ্গে আমার ম্যাচটি অনেকবার দেখেছি। কী ভুল করেছিলাম বোঝার চেষ্টা করেছি।
নতুন বছরের শুরুতে ২১তম গ্র্যান্ডস্লামের রেকর্ড গড়ার সুযোগ ছিল জোকারের কাছে। কিন্তু ভ্যাকসিন নাটকের জন্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার সুযোগ হয়নি তার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এ বছর যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। এটা ভুলে যাওয়া কঠিন হবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমার একটা দারুণ যোগসূত্র রয়েছে। অতীতে মেলবোর্ন থেকে আমি যা কিছু পেয়েছি, সেখানে গেলে আমি সেগুলোই অনুভব করি। মেলবোর্নে আমার সঙ্গে ঘটা সকল সুন্দর জিনিসগুলো আমি সবসময় মনে রাখব। তবে আমি ভবিষ্যতে অস্ট্রলিয়ায় ফিরে আসতে চাই এবং রড লিভার এরিনায় খেলতে চাই।
প্যারিসে স্বর্ণ জেতার স্বপ্ন দেখছেন জকোভিচ
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জকোভিচ ভ্যাকসিন না নেওয়ার ব্যাপারে বলেন, অন্যদের মতো আমিও মাথায় রেখেছিলাম, ভবিষ্যতে প্রতিষেধক নেব। করোনা শেষ করতে সামগ্রিক ভাবে এটা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। একটা ব্যাপার পরিষ্কার করে দিতে চাই, ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে আমি নই। কখনওই ছিলাম না। কিন্তু নিজের শরীরে কে কী নেবে, তার স্বাধীনতা থাকা উচিত। এটা কিন্তু যেকোনও টুর্নামেন্ট জেতার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এই সিদ্ধান্তের জন্য যদি উইম্বলডন, ফরাসি ওপেন কিংবা অন্য টুর্নামেন্ট খেলতে না পারেন? প্রশ্নর উত্তরে জোকার স্পষ্ট বলেছেন, এই মূল্য চোকানোর জন্য আমি তৈরি। আমি আমার শরীর নিজের মতোই রাখতে চাই।