মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে সারাদেশে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য জমি ও গৃহ প্রদান’ কার্যক্রমের আওতায় আরও প্রায় ৫০ হাজার ঘর নির্মাণ করা হবে। যার অংশ হিসেবে মাগুরায় চলছে ২৪৪টি গৃহ নির্মাণের কাজ।
জেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিদর্শনকালে এ তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরিদর্শন দলে ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষারসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
তারা শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শালিখা উপজেলার তালখড়িতে নির্মাণাধীন তৃতীয় ধাপের আশ্রয়ণ প্রকল্প, একই উপজেলায় শতখালি ইউনিয়নের ফরিরের বাছড়া গ্রামের দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প, শালিখার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের সোনাকুড় কোতপুর গ্রামের দ্বিতীয় ধাপের আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের বাহারবাগ গ্রিনসিটি প্রকল্পও পরিদর্শন করেন তারা।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মাগুরায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা সম্বলিত প্রতিটি দুই কক্ষের মোট ৩১০টি ঘর ভূমিহীনদের জন্য তৈরি করে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে ৫০ হাজার ঘর
তৃতীয় পর্যায়ে আরও ২৪৪টি ঘর নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া জেলার সদর উপজেলার বাহারবাগ ও জগদল মাধবপুরে নির্মিত হয়েছে গ্রিন সিটি ও পিংক ভিলেজ নামে ব্যতিক্রমী দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্প। যেখানে ৪০টি আশ্রয়হীন পরিবার ঠাঁই পেয়েছেন। বেড়েছে প্রতিটি পরিবারের জীবনযাত্রার মান।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় ধাপে আশ্রয়হীন পরিবারের জন্য নির্মিত হচ্ছে ৪৯ হাজার ৫২৬টি ঘর।
আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে মাগুরাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত করার লক্ষ্যে একটি জরিপের ভিত্তিতে উপযোগী সংখ্যক গৃহ নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বলেও জানান তিনি।
মাগুরার শালিখা উপজেলার ফকিরের বাছড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঠাঁই পাওয়া রোজিনা বেগম জানান, ঘর না থাকায় এতদিন চার সন্তান ও দিন মজুর স্বামী নিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রিত থেকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
এখন আশ্রায়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়ায় তাদের পুরো জীবনযাপন পাল্টে গেছে। আশ্রায়ণ প্রকল্পের খোলা জায়গায় গাভী ও হাঁস-মুরগী পালন করে তাদের সংসারে আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি সন্তানদের লেখাপড়া শেখাতে সুবিধা হচ্ছে। একই কথা বলেছেন একই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঠাঁই পাওয়া ইসহাক মিয়াসহ অন্যরা।