আজ নীলফামারীতে জেলার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

0
59
তেঁতুলিয়া
তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৮ ডিগ্রি

নীলফামারীতে ঘন কুয়াশা ও বাতাসের বেগ বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত। তবে আজ নীলফামারীতে জেলার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) নীলফামারীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীত মৌসুমে এটি জেলার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

নীলফামারীতে গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়েসের মধ্যে ওঠানামা করলেও আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার ঘনত্ব এত বেশি যে আকাশ দেখা যাচ্ছে না। বাতাস বইছে প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে। বাতাসের আর্দ্রতা শতভাগ।

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ঘন কুয়াশা ও হীম শীতল বাতাসের বেগ বেড়ে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এরপরও বসে নেই দিনমজুর ও কৃষক-শ্রমিকরা। জীবিকার তাগিদে মাঠে নেমেছেন তারা। শীতের দাপটে কাজে যেতে না পারায় কমে গেছে তাদের আয় রোজগার।

তীব্র শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য রাস্তা ও বাসাবাড়িতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শিশুসহ বয়স্ক মানুষ শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহানগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে বয়স্ক ও শিশুরা। হাসপাতারের আউটডোর আর ইনডোরে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

এদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় জেলার ছিন্নমূল মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বাস ও রেলস্টেশনের বারান্দায়। জরাজীর্ণ কম্বল দিয়ে তাদের শীত নিবারণ হচ্ছে না। ফলে চরম দুর্ভোগে দিন পার হচ্ছে তাদের।