আজ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের জন্মদিন। ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর উপজেলা মিঠামইনের কামালপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবা হাজি মো. তায়েবউদ্দিন এবং মা তমিজা খাতুন। কামালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু। এরপর ভৈরব কেবি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। এসএসসি পাস করেন নিকলী উপজেলার গোড়াচাঁদ হাইস্কুল থেকে। কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পাস করার পর ঢাকার সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি নিয়ে কিশোরগঞ্জ বারে আইন পেশায় যোগ দেন আবদুল হামিদ।
জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব:
আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন দুই দফা।
রাষ্ট্রপতি:
গত ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বঙ্গভবনের বাসিন্দা হন তিনি। আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমবার শপথ নেন। পরের দফায় ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ১৯ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৬ জন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই হিসেবে আবদুল হামিদ এই পদে সপ্তদশ ব্যক্তি।
স্বাধীনতা পদক:
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে আবদুল হামিদকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।
রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে ধরাবাঁধা নিয়মের ছকে থেকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান স্বভাবসুলভ হাস্যরসের মধ্যে দিয়ে তিনি রয়েছেন সাধারণ মানুষের খুব কাছে।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা আবদুল হামিদ বিভিন্ন সময়ে ঠাট্টাচ্ছলে বঙ্গভবনকে তুলনা করেন জেলখানার সঙ্গে। আর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, খাঁচার পাখিরে যত ভালো খাবারই দেওয়া হোক না কেন, সে তো আর বনের পাখি না। আমি একটা দায়িত্ব হিসেবে এখানে এসেছি। সংসদে মনের খোরাক পেতাম, বঙ্গভবনে পাই না। ইচ্ছা করলেই অনেক কিছুই করতে পারি না।
প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর এক অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনের পরিবেশ নিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ আরও বলেছিলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে জেলে ছিলাম। এখনও জেলে আছি। পার্থক্য আগে স্যালুট দিত না, এখন দেয়।
ব্যক্তিগত জীবনে আবদুল হামিদ তিন পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জনক।