২০২২ সালে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে, আশা ডব্লিউএইচওর

0
54
ডব্লিউএইচও
গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে মারা যাচ্ছে একটি শিশু: ডব্লিউএইচও

২০২২ সালে মহামারি করোনাভাইরাসকে পরাজিত করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব‌্যক্ত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেডরস আধানম গ্রেব্রিয়াসাস।

তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ রোধে বিশ্বের দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই ২০২২ সালে এ ভাইরাসকে পরাজিত করা সম্ভব হবে।’

বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন বছরের ২০২২ শুরুতে এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টিকা নিয়ে স্বার্থপর জাতীয়তাবাদী আচরণ ও কোভিড টিকার মজুদের বিষয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘করোনার চিকিৎসায় এখন মানুষের হাতে অনেক উপকরণ রয়েছে। তবে টিকা প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে যে চলমান অসমতা রয়েছে, তা বজায় থাকলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি থাকবে।’

টেডরস আধানম বলেন, ‘আমরা যদি টিকা প্রাপ্তির অসমতা দূর করতে পারি তবেই মহামারি করোনা বিদায় নেবে।’

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২১ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। করোনা শনাক্তের প্রায় দুই বছর পর করোনার বিদায় নিয়ে আশাবাদ ব‌্যক্ত করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।

মহামারিকে বিদায় জানানোর জন্য সবার আগে প্রয়োজন বিশ্বজুড়ে টিকা বণ্টনে সমতা- উল্লেখ করে শুভেচ্ছাবার্তায় গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘মহামারির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে থাকা সবচেয় কার্যকর হাতিয়ার হলো করোনা টিকা; কিন্তু সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ ও টিকা মজুত করার প্রবণতার কারণে বিশ্বজুড়ে করোনা টিকা বণ্টনে অসমতা সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি দিনকে দিন বাড়ছে।’

‘টিকা বণ্টনের অসমতাই ওমিক্রনসহ নিত্যনতুন ভাইরাসের আগমনের পরিবেশ তৈরি করেছে এবং এই অসমতা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে মহামারি যে রূপ নেবে- তা আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও কঠিন।’

‘আমরা যদি অসমতা দূর করতে পারি, কেবলমাত্র তাহলেই মহামারির অবসান ঘটানো সম্ভব।’

নতুন বছরের শুভেচ্ছাবার্তায় বিশ্ববাসীকে ডব্লিউএইচও’র প্রধান নির্বাহী আরও জানান, ২০২২ সালে নতুন লক্ষ্য স্থির করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা; আর সেটি হলো- এ বছরের জুলাই মাস শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বের সব দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা।

উল্লেখ‌্য, শনিবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ মারা গেছেন। আর এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৮ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ২৬৬ জনের। সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ২৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭১৪ জন।