মালদ্বীপের রাজধানী মালের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহর আমন্ত্রণে বুধবার ছয় দিনের সরকারি সফরে মালদ্বীপের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ফ্লাইটটি মালে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সফরে দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বন্দীদের স্থানান্তর এবং দ্বৈত কর এড়ানোর বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারকসহ (এমওইউ) চারটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈত কর পরিহার এবং আয়ের ওপর করের ক্ষেত্রে আর্থিক ফাঁকি প্রতিরোধের চুক্তি, যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, যোগ্যদের নিয়োগের বিষয়ে এমওইউ। বাংলাদেশ ও দেশটির মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পেশাদার এবং সমঝোতা স্মারক (নবায়ন)।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দেয়া ১৩টি সামরিক যান মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ তার প্রাসাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।
এ সময় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সাথে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের জাতীয় সংসদ পিপলস মজলিসে ভাষণ দেবেন। একই দিন সন্ধ্যায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির আয়োজনে রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় শেখ হাসিনার যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
২৪-২৬ ডিসেম্বর মালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া কমিউনিটি সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে মালের হোটেল জিনে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম, দেশটির জাতীয় সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ এবং প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুথাসিম আদনান বাংলাদেশ সরকার প্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।