প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে বিশ্বকে এ ভাইরাসটি ঠেকাতে প্রস্তুত থাকতে বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। স্থানীয় সময় শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে হু-এর বিজ্ঞানী সৌমিয়া স্বামীনাথন এ কথা বলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর বিজ্ঞানী সৌমিয়া বলেন, এক বছর আগের চেয়ে বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। বিভিন্ন তথ্যের বরাত দিয়ে শনিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশে ইতোমধ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
গত ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার শনাক্ত হয় ওমিক্রন। পরে ওই মাসের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর ঘোষণা দেয় দেশটি। এরইমধ্যে দ্রুত গতিতে ওমিক্রন বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি ভারত, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। সীমান্তে কড়াকড়ি করেও করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার ঘটনা ঠেকাতে পারেনি জাপান।
করোনার এ ধরন কতোটা দ্রুত গতিতে ছড়ায় এবং এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কতোটুকু কার্যকর- তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার এ ধরন হয়তো কিছুটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পরাস্ত করতে সক্ষম হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তদের তেমন গুরুতর লক্ষণ দেখা যায়নি।
হু-এর বিজ্ঞানী ড. সৌমিয়া স্বামীনাথন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পাওয়া নথির ভিত্তিতে বলেন, ‘ধরনটি উচ্চ সংক্রমণশীল।’ তিনি জানান, এটাই এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী করোনার ধরন হয়ে উঠতে পারে। তবে এক্ষুণি এ ভবিষ্যদ্বানী করাটা কঠিন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ড. সৌমিয়া স্বামীনাথন বলেন, বিশ্বে এখনও মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৯৯ শতাংশই ঘটেছে ডেল্টার কারণে। তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিৎ প্রস্তুতি নেয়া ও সতর্ক হওয়া- আতঙ্কিত হওয়া নয়। কারণ, এক বছর আগের চেয়ে আমরা এখন ভিন্ন পরিস্থিতিতে রয়েছি।’
ইতোমধ্যে হু এর জরুরি বিভাগের পরিচালক মাইক রাইয়ান বলেন, বর্তমানে বিশ্ব করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ‘উচ্চ কার্যকরিতার ভ্যাকসিন’ পেয়েছে। এখন এ ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে বিশ্বব্যাপী বণ্টনের ওপর গুরুত্ব দেয়া জরুরি।