আগামী সপ্তাহে নাম পরিবর্তন হতে পারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের। নতুন নামে আসতে পারে ফেসবুক। আজ বুধবার দ্য ভার্জের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ আগামী ২৮ অক্টোবর কোম্পানির বার্ষিক কানেক্ট কনফারেন্সে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে কথা বলার পরিকল্পনা করেছেন।
একটি মূল প্রতিষ্ঠানের অধীনে যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আসতে এই নতুন নাম আসছে। এর মাধ্যমে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ওকুলাসসহ তাদের মালিকানাধীন বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে ফেসবুক।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাম পরিবর্তনের বিষয়টি সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন কিছু নয়। সার্ভিসে পরিবর্তন আনতে বা সংযোজনের ক্ষেত্রে তারা প্রায়শই নাম পরিবর্তন করে থাকে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটিতে (এআর) বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে ফেসবুক। প্রায় ৩ বিলিয়ন ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন ডিভাইস এবং অ্যাপের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
মেটাভার্স তৈরিতে সহায়তার জন্য কোম্পানিটি আগামী ৫ বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে।
মেটাভার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনর্গঠন ফেসবুকের নাম বদলের একটি কারণ হতে পারে। তবে দ্য গার্ডিয়ান বলছে, খবরটি এমন সময়ে এল, ফেসবুক যখন তীব্র চাপের মুখে। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন সংবাদমাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অনেক তথ্য ফাঁস করেছেন। মার্কিন কংগ্রেসে তিনি বলেছেন, ফেসবুক সব সময় মানুষের ভালোর চেয়ে মুনাফায় গুরুত্ব দিয়েছে, শিশু-কিশোরদের ক্ষতি করছে জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা। হাউগেনের ফাঁস করা তথ্যের সূত্র ধরে ফেসবুক নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।