
আগামী শুক্রবার সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার নিয়োগের ১৫টি পরীক্ষার দিন পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কেউ কেউ একাধিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে আবেদন করেছেন। প্রবেশপত্র পেয়েছেন। কিন্তু একই দিন পরীক্ষা হওয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।
এর আগে অনেক প্রতিষ্ঠানেই নিয়োগ পরীক্ষা বিলম্বিত হয়েছিল। এখন সপ্তাহের ছুটির দিনে একসঙ্গে অনেক পরীক্ষা হচ্ছে। এর আগে ৮ অক্টোবর ১৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষার দিন ছিল।
আগামী শুক্রবার যে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার সূচি ঠিক হয়েছে তা হলো- অর্থ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল কার্যালয়, পদ্মা অয়েল কোম্পানি, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, স্থাপত্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অবশ্য সংস্থা ভেদে পদ ভিন্ন।
এর মধ্যে পদ্মা অয়েল কোম্পানির পরীক্ষা হবে চট্টগ্রামে। বাকিগুলোর পরীক্ষা হবে ঢাকায়। এই ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টির লিখিত পরীক্ষা হবে। একটির হবে মৌখিক পরীক্ষা।
সূচি অনুযায়ী, আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংক, স্থাপত্য অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হবে। সেতু বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পরীক্ষা শুরু হবে বেলা ১১টায়। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল কার্যালয়, বেবিচক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরীক্ষা বেলা ৩টায় শুরু হবে।
বেবিচকের মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সাধারণ প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান চাকরির পরীক্ষাগুলো সকালে নেয়। চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সিনিয়র অফিসার পদের পরীক্ষা বিকেলে নেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে আগের ঘোষিত সময়ে পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি শাখা খুলে পরীক্ষার তারিখ যাতে এক দিনে বেশি না পড়ে, তা তদারক করতে পারে।