মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলতি সপ্তাহ থেকে ঢাকার বাইরে ২১টি কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে এক অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই সপ্তাহের মধ্যেই শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমেই তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। আর তাদের জন্য আলাদা টিকা কেন্দ্র তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুনঃ টিকা নিবন্ধনের বয়সসীমা ২৫ থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হচ্ছে
খুরশীদ আলম বলেন, শিশু-কিশোরদের টিকার বিষয়টি নানা কারণে এখনো হয়ে উঠেনি। এর প্রধান কারণ হলো, এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দেয়নি। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনেভায় গিয়ে ডব্লিউএইচওর ডিজির সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তারা সম্মতি দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সেটি মাথায় রেখে আমরাও একই টিকা দেবো।
আরও পড়ুনঃ ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু কিশোরা পাবে ফাইজারের টিকা
খুরশীদ আলম বলেন, ‘স্কুলশিক্ষার্থীদের তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করবে। আমরা তাদের বিস্তারিত সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে দিয়ে দেব। আমরা যেকোনো একটা টিকা দেওয়ার আগে টেস্ট রান করি। ৫০ থেকে ১০০ জনসহ যেটুকু পারি সেটা দিয়ে করব। তাদের দিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করব। এরপর বড় আকারে দেব। শিশুদের টিকা কেন্দ্র আলাদা হবে।’
এর আগে রবিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দুয়েক দিনের মধ্যেই সরকার ১২-১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করবে। শুরুতে দেশের ৩০ লাখ ছেলেমেয়েকে এই টিকা দেওয়া হবে। জন্ম-নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে শিশুরা এই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে।