সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮ হাজার ৭ জন। সেই সঙ্গে মারা গেছেন আরও ২ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৭ জনে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১৭৪ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তিদের অধিকাংশই রাজধানীর বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন ২১৭ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮৩ জনে।
ঢাকার ৪৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৭৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০৭ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ (২৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৮ হাজার ৭ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৬ হাজার ৯৫৭ জন রোগী। এ সময় ডেঙ্গুতে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ:
১। প্রচণ্ড জ্বর
২। তীব্র মাথাব্যথা
৩। বমি
৪। শরীরে লাল র্যাশ ওঠা
৫। মাংসপেশীতে ব্যথা
৬। চোখের পেছনে ব্যথা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়:
১। মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করা।
২। ঘর ও আশপাশের যে কোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা যাতে এডিস
মশার লাভা বিস্তার না করতে পারে।
৩। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারকেলের মালা, কনটেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদি প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা; যাতে এডিস মশা বিস্তার না করতে পারে।
৪। রাতে বা দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা।
৫। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ স্থাপন করা।
৬। মশা নিধনের ওষুধ, স্প্রে কিংবা কয়েল ব্যবহার করা।
৭। জানালাতে মশা প্রতিরোধক নেট ব্যবহার করা।